পূর্ব বর্ধমান জেলার উল্লাস এলাকায় দুই বিজেপি গোষ্ঠীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ। বিজেপি কর্মীদেরযার ফলে উত্তপ্ত উল্লাস এলাকা। ব্যাপক সংঘর্ষ বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। বিজেপি রাসবিহারী বসু ভবন থেকে ঠিল ছোঁড়া দূরত্বে কার্যালয়ের বাইরে চলতে থাকে ব্যাপক ইট বৃষ্টি। এমনকী লাঠালাঠিও শুরু হয়ে যায়। আহত দু পক্ষেরই বেশ কয়েক জন।
যতদূর জানা গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, যারা অন্য দল থেকে এসেছে তাদের প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে পয়সার বিনিময়ে। এছাড়া জেলা কার্য্যালায়ে অনৈতিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগও রয়েছে। মূলত অভিযোগ আজ আউশগ্রাম থেকে প্রায় ১০০০ বিজেপি ও আরএসএস কর্মীরা ও ঊর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করতে এলেতাদের ৩ জনকে মারধর ও কার্যালয়ে আটকে রাখা হয় এক কর্মীকে।
যদিও বিজেপি সহ সভাপতি প্রবাল রায় জানান যারা আক্রমণ করেছে কার্য্যালায় তারা তৃণমূলের pk-এর দল । টাকা দিয়ে তাদের পাঠানো হয়েছে। সম্প্রতি ভোটের প্রাক্কালে ‘গোলি মারো’ স্লোগান ঘিরে ক্রমশ অশান্ত হচ্ছে রাজনীতির মঞ্চ। বুধবার চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারির মিছিলে বিজেপির 'গোলি মারো' স্লোগানের জেরে হুগলীর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুরেশ সাউ-সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বিজেপি।
মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলে ‘দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো...’ স্লোগান উঠেছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বিজেপি সেই স্লোগান তুলতেই কেন পদ্ম শিবিরের নেতাদের গ্রেফতার করল পুলিশ? বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “দুটি মিছিলে এই স্লোগানের আগেও কিছু কথা ব্যবহার করা হয়েছিল। যা তাৎপর্যপূর্ণ। কাকে গোলি মারো। বিজেপির মিছিলে দেশের গদ্দারকে বলা হয়েছে। দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গোলি মারার কথা বলা হয়েছে। আমরা তো অন্যায় দেখছি না কিছু।”