এসএসসি চাকরিহারাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দলের তরফে সাহায্য করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মতো পোর্টাল চালু করল রাজ্য বিজেপি। বুধবার বর্ধমান শহর বর্ধমানে বিজেপি জেলা কার্যালয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের উপস্থিতিতে একটি পোর্টালের সূচনা করা হল। এই পোর্টালে গিয়ে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন যোগ্যরা। তাঁদের আইনি সহায়তা দেবে রাজ্য বিজেপি।
পোর্টাল ছাড়াও এ দিন একটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করেছে বিজেপি। ওই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করেও নিজেদের দাবিদাওয়া জানাতে পারবেন এসএসসি চাকরিহারারা। পোর্টালটি হল www.bjplegalsupport.org। আর হেল্পলাইন নম্বর- ৯১৫০০৫৬৬১৮। বিজেপির তরফে বলা হয়েছে, বাংলার যোগ্য শিক্ষকরা এই পোর্টাল ও হেল্পলাইনে আবেদন করলে আইনি সহায়তা পাবেন।
এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন,'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীজি নির্দেশ দিয়েছেন যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের প্যানেলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের পাশে থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে ও আইনি সাহায্য প্রদান করবে। মমতা ব্যানার্জি অযোগ্যদের বাঁচাতে যোগ্য মেধাবী চাকরিপ্রাপ্ত শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের বলি দিয়েছিলেন। এসএসসি যোগ্য আর অযোগ্যদের মধ্যে বিভাজন করে সঠিক তথ্য ভিত্তিক সংখ্যা প্রকাশ করলে আজ যোগ্যদের এই দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। যোগ্যতার ভিত্তিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তারা আইনি সহায়তা পেতে এই পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করুন'।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি নির্দেশ দিয়েছেন যে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২০১৬ সালের প্যানেলে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫,৭৫৩ জনের মধ্যে যাঁরা যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন তাঁদের পাশে থেকে ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে ও আইনি সাহায্য প্রদান করবে।
মমতা… pic.twitter.com/JLaKYBVLqZআরও পড়ুন
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) May 9, 2024
বর্ধমান শহরে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য সরকার ও স্কুল শিক্ষা দফতরকে আক্রমণ শানান রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন,'প্রধানমন্ত্রী পাশে থাকার বার্তা দেওয়ার পরেই অবস্থান বদল করেছেন এসএসসি চেয়ারম্যান। যোগ্য ও অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী বাছাই করা সম্ভব হলে আগে কেন তা করেননি?'
এসএসসি চাকরি বাতিল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন,'যাঁরা মানুষের মুখের ভাত কেড়ে নেয় তাঁরা দানব ছাড়া আর কিছু নয়'। এর প্রেক্ষিতে শমীকের বক্তব্য,'মুখ্যমন্ত্রী একেবারে ঠিক কথা বলেছেন। যারা মানুষের গ্রাস কেড়ে নিয়েছে মানুষ তাদের ছাড়বে না। তৃণমূলের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক রেশনে দুর্নীতি করে কোটি কোটি মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নিয়েছিলেন। এখন তিনি জেলে। শঙ্কর আঢ্য ২০ হাজার কোটি টাকা একটি কোম্পানির মাধ্যমে বিদেশে পাঠিয়ে জেলে ঢুকে বসে আছেন। শেষ জীবনটা ওদের ওখানেই কাটবে। মুখের গ্রাস তৃণমূল কংগ্রেস খেয়েছে। অগ্নিকন্যার পার্টি মানুষের হৃদয়ে কতটা আগুন লাগাতে পেরেছে জানা নেই তবে মানুষের পেটে আগুন লাগিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষে স্বচ্ছ নিয়োগ সম্ভব নয়'।