Dilip Ghosh: উত্তরবঙ্গে ঝড়ে বিধ্বস্ত পরিবারের ত্রাণ নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। অতিসম্প্রতি একাধিকবার বেলাগাম মন্তব্য করে জোর বিতর্কে জড়িয়েছেন বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব থেকে শো-কজও করা হয় তাঁকে। মঙ্গলবার তিনি ফের শাসক দলকে নিশানা করে বলেন, "প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলে তৃণমূলের পোয়া বারো। যা মাল আসবে ঝেড়ে ফাঁক করে দেবে।"
রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে টর্নেডোর তাণ্ডবে মৃত্যু হয় কমপক্ষে পাঁচজনের। মঙ্গলবার দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, "বন্যা, ঝড়, ভূমিকম্প ওরা চায়। তাহলে কামাই হবে। সরকারে যারা আছে তাদের দায়িত্ব ওখানকার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ানোর এবং ক্ষতিপূরণ দিয়ে নিজের জীবনে ফিরিয়ে আনা। আমরা বিরোধী পার্টি। আমরাও মানুষের সঙ্গে আছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথায় কথায় এত টাকার ফিরিস্তি শোনায়, কিন্তু মানুষের কাছে পৌঁছয় না। এরপর তিনি পুনরায় আয়লা-আমফানের টাকা তৃণমূল নেতাদের পকেটে গিয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।"
বলেন, "আয়লা-আমফানে টাকা এল। অথচ গেল তৃণমূলের নেতা ও আত্মীয়দের পকেটে। যার বাড়ি ভেঙেছে সে কিছু পেল না। এবার যেন তা না হয়।"
এরপর থেকে চলছে ত্রাণ রাজনীতি। সোমবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "আবাস যোজনার যদি টাকা পেত, তাহলে এই মানুষগুলির মাথার ওপর ছাদ থাকত। এভাবে বাড়ি ভেঙে হাসপাতালে ভর্তি হতে হত না।" যদিও এর পাল্টা কটাক্ষ করেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, আবাসের টাকা চুরি না হলেই আসত এ রাজ্যে।
গতকাল উত্তরবঙ্গে বিধস্ত এলাকা পরিদর্শনে মধ্যরাতে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর বেলায় এসে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।