আর ক'মাস বাদেই লোকসভা নির্বাচন। ২০২৪ সালের ভোটযুদ্ধে বাংলাকে আবার পাখির চোখ করেছে মোদী বাহিনী। বাংলা থেকে যাতে বেশি সংখ্যক আসনে পদ্মফুল ফোটে, গত বঙ্গ সফরে এসে সেই বার্তা দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বাংলায় ৩৫টি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়েছেন মোদী সেনাপতি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে মুখ খুললেন। শুক্রবার মেখলিগঞ্জের সভায় শুভেন্দু বললেন, 'লোকসভায় বাংলা থেকে ৩৫টিরও বেশি আসন পাবে বিজেপি।'
২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের হাত ধরে বাংলায় বিজেপির অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। রাজ্যের ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে দখল করে পদ্মশিবির। এর পরই বাংলা দখলের লক্ষ্যে শামিল হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২১ সালে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিজেপির। মোদীবাহিনীর 'সোনার বাংলা' গড়ার স্বপ্ন ভেঙে যায়। তবে তার পরও লড়াই জারি রেখেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলর হিসাবে প্রায় রোজদিনই তৃণমূলকে আক্রমণ শানাচ্ছেন শুভেন্দু। শুক্রবারের সভাতেও ফের তৃণমূলকে 'চোর'বলে কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা। একই সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন শুভেন্দু। বললেন, 'চব্বিশে আবার মোদী সরকার।' বার্তা দিলেন 'ডবল ইঞ্জিন সরকার' গড়ারও।
নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে ধর্মতলায় সভা করেছিলেন অমিত শাহ। তার পরে এক মাসের মাথায় আবার বঙ্গ সফরে আসেন শাহ। তাঁর সঙ্গী ছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সাফল্যের পর লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় সফল হতে মরিয়া পদ্ম শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, কোন কৌশলে লোকসভা ভোটে ঝাঁপাবে পদ্ম শিবির, তা বৈঠকে বাতলে দিয়েছেন শাহ। বিজেপির দলীয় নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন শাহ-নড্ডা। নির্বাচনে বাংলা থেকে আরও বেশি সংখ্যক আসন পেতে মরিয়া মোদী-শাহেরা। আর শুক্রবার শুভেন্দুর বক্তব্যে সেই বার্তাই ধরা পড়ল।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু। বলেছেন, '১০০ দিনের কাজ, আবাস, সর্বস্তরে দুর্নীতি। সর্বস্তরে চুরি করেছে তৃণমূল। এই চোরেদের আমরাই উৎখাত করব। মমতা যতক্ষণ না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, ততক্ষণ এই লড়াই চলবে। সব চোর জেলে যাবে।' মমতাকে নিশানা করে শুভেন্দু আরও বলেন, 'উত্তরবঙ্গকে ঘৃণা করেন। বঞ্চিত করেন। আমাদের আন্দোলনে ভয় পেয়ে ধূপগুড়িতে মহকুমা করেছেন।'