scorecardresearch
 

বেসুরো গেয়ে তৃণমূলকেই ঠেস,অবস্থান স্পষ্ট করলেন শান্তনু

বেসুরো গেয়ে পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যারা সিএএ সমর্থন করেন না তাদের সঙ্গে কীসের কথা। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।

Advertisement
শান্তনু ঠাকুর শান্তনু ঠাকুর
হাইলাইটস
  • বেসুরো গেয়ে পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।
  • যারা সিএএ সমর্থন করেন না তাদের সঙ্গে কীসের কথা।
  • নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ।

বেসুরো গেয়ে পাল্টা তৃণমূলকে একহাত নিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। যারা সিএএ সমর্থন করেন না তাদের সঙ্গে কীসের কথা। নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ। 

সম্প্রতি সিএএ বাস্তবায়ন নিয়ে বেসুরো গাইছিলেন শান্তনু। যার জেরে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শান্তনু ঠাকুরকে নিয়ে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। তিনি কি করতে চলেছেন,তা নিয়ে ধন্দে পড়ে যায় দল। এদিন চুঁচু্ড়া সুকান্ত নগর ফুটবল মাঠে মতুয়া মহাসংঘের জনসভায় এসে তার অবস্থান স্পষ্ট করেন মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি। তিনি বলেন,আমি সিএএ-এর পক্ষে। আমি সিএএ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ভোট দিয়ে পাশ করিয়েছি। যারা সমর্থনই করছে না,তারা কি করে আমাকে চাইছে। 

এই বলেই অবশ্য় থেমে থাকেননি বিজেপির সাংসদ। তিনি বলেন, একটা বিষয় পরিষ্কার হওয়া উচিত। ১৯৭১ সালের পরে যারা ভারতে এসেছে তাদের যাতে নাগরিকত্ব পান দল তাঁর জন্য় লড়াই করছে। আর যারা এই আইনের সমর্থনই করছেন না সেখানে যাওয়ার প্রশ্ন আসে কী করে। সিএএ-র বিরোধিতা যারা করছে তারা কী করে আমাকে সেখানে চায়। আগে তারা বলুক তারা সিএএ সমর্থন করছে,তারপর আমরা দেখছি কি করা যায়।ওরা সিএএ সমর্থন করুক আগে। 

এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শান্তনু ঠাকুর বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমাদের প্রশ্ন, কাদের কারণে সিএএ লাগু হচ্ছে না ? যদি কিছু সংখ্যক মানুষ সিএএ লাগু করতে না দেয় তাহলে তা বাংলার নমশূদ্র সমাজ মেনে নেবে না। রাজ্য়ে নমশূদ্রের সংখ্যা কম নয়। ৭১ সালের পর যারা ভারতে এসেছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া মতুয়া মহাসংঘের কর্তব্য। আমরা ভারত সরকারকে অভয় দিচ্ছি, দাঙ্গা হলে দাঙ্গা প্রতিরোধ করার ক্ষমতা এই সমাজের মানুষের আছে।

মোদী সরকার সিএএ আনার পরই উত্তাল হয় গোটা দেশের রাজনীতি। বিক্ষোভের রেশ এসে পড়ে বাংলাতেও। গোটা রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেসের মতো দলগুলি। পাল্টা তোপ দাগে গেরুয়া শিবিরও। সোমবার রাতে রাজ্য়ের বিধানসভা নির্বাচনের কৌশল নিয়ে বৈঠকে বসে বিজেপি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শান্তনু ঠাকুরও। বৈঠক শেষে দিলীপ ঘোষ জাানান, শান্তনুর সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁরা। তিনি তাঁকে জানিয়েছেন, বিজেপিই সিএএ-র বাস্তবায়ন ঘটাতে পারে। করোনো পরিস্থিতির জন্য় থমকে রয়েছে এই কাজ। এ বিষয়ে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই কথা দিয়ে গেছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এই আইন লাগু করা হবে।

Advertisement

 


Advertisement