Suvendu Adhikari: মমতার সরকারকে ৩ মাসের 'ডেডলাইন' বেঁধে দিলেন শুভেন্দু। আসন্ন পঞ্চায়েতের আগে বুধবার পটাশপুরে সভা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এটা কোয়াটার ফাইনাল, সেমি ফাইনালে আপনার ৩৫টা লোকসভা সিট এবারে হারাব। আমি ছিলাম বলে কাঁথি, তমলুক, ঘাঁটাল, আরামবাগ পেয়েছেন। এবার ১৮-কে ৩৬ করব। ৩ মাসের মধ্যে বিদায় দেব চোরেদের সরকারকে। ভাইপোরটা ছেড়ে দেন আমাদের ওপরে।"
এদিন ফের 'চোর ধরো' স্লোগান তোলেন তিনি। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতকে চোর মুক্ত করার অঙ্গীকার নিয়েছে বিজেপি। বিজেপির পঞ্চায়েত হলে আবাস যোজনার টাকা পাবেন সবাই, যদি গরিব হয় তৃণমূলের লোককেও দেওয়া হবে।
তাঁর আরও দাবি, তারা জব কার্ডের টাকা আটকায়নি, চুরি আটকেছে। এই চোরেদের জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দেন। নাম না করে মমতা-অভিষেককে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু। বলেন, এই এলাকা তাঁর হাতের তালু। "২০১১-র আগে বদলা নয়, বদল চাই-এর স্লোগান তুলেছিলেন। চাকরি দেবেন বলেছিলেন, কিছুই হয়নি। শিল্প আসেনি, কলকারখানা বন্ধ হয়েছে। এসএসসি, পিএসসি-র পরীক্ষা তুলে দিয়েছে। দোকান খুলে চাকরি বেচা হয়েছে। পার্থ-অপা সিন্ডিকেট ধরা পড়েছে। এরা চাকরি চোর", বলেও আক্রমণ করেন।
শুধু তাই নয়, এদিন সায়নী ঘোষ-কুন্তলকেও আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আমার একটা লেভেল আছে। এরকম লোকেদের প্রসঙ্গে মন্তব্য করা আমার কাছে অত্যন্ত রুচিহীন। তবে এটা ঘটনা, ভাইপোর সাকরেদ কুন্তল এই ভদ্রমহিলাকে বিরাট ফ্ল্যাট দিয়েছেন, গাড়ি দিয়েছেন এবং চুরির উচ্ছিষ্টের ভাগ দিয়েছেন। এদের শুধু ডাকলে হবে না। ইডিকে এদেরকা ভিতরে ঢোকাতে হবে। এগুলি সিজ করে ওই টাকাগুলো সরকারের খাতে জমা করাতে হবে।"
উল্লেখ্য, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh) তলব করেছে ইডি (ED)। ৩০ জুন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এদিন সায়নী-কুন্তলকে একযোগে আক্রমণ করেন শুভেন্দু।