Suvendu Adhikari: তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, তাঁর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল ও কর্পোরেট সংস্থা আইপ্যাক। তাঁর দাবি, পরিকাঠামোগত কাজের জন্য একটি টেন্ডার আইপ্যাক-এর পছন্দের সংস্থাকে পাইয়ে দেওয়া হয়। টেন্ডার দুর্নীতিতে মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি যুক্ত বলেও তাঁর অভিযোগ। রাজ্যপালকে এই বিষয়টি জানান বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, "পরিকাঠমোগত যে টেন্ডার ডকুমেন্ট বানানোর দায়িত্ব দেয় তথ্য ও প্রযুক্তি দফতর। সেই টেন্ডার ওয়েবেলের থেকে ফাইল নিয়ে WBTL-কে দেওয়া হয়। আইপ্যাক-কে বেনামে দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। এই আইপ্যাক মিথ্যা প্রচার করছে। আইপ্যাক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে এই সরকার। আইপ্যাক সমান্তরাল সরকার চালাচ্ছে। IAS-দের মাধ্যমে কারচুপি করা হচ্ছে। রাজ্যের আমলারাই আমায় প্রমাণ দেখিয়েছেন। ED বা আয়করকে দিয়ে তদন্ত করানো হোক।"
এদিন সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে শুভেন্দুর দাবি, "আইপ্যাক-কে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর। এই টাকা গেছে তৃণমূলের কাছে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে। শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এই টেন্ডার পাইয়ে দেওয়াতে অনুমতি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তৃণমূল পারিবারিক ও কর্পোরেট সংস্থায় পরিণত হয়েছে। জনগণের দেড় কোটি টাকা আইপ্যাক-কে পাইয়ে দেওয়া হয়। আদালত কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারেন।"
এদিক আজই বিদেশ যাত্রা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পান তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে জারি হওয়া লুকআউট নোটিশ তুলে নিতে ইডিকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত আজ জানায়, বিদেশ যাত্রার আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তা জানাতে হবে ইডি-কে। এক সপ্তাহ আগে জানালেই হবে। এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতার দাবি, "তিনি কীভাবে ফিরছেন তাই দেখার। তিনি বিনয় মিশ্র হয়ে যেতে পারেন।"
পাল্টা কুণাল ঘোষের দাবি, "এই দাবি ভিত্তিহীন। আইন মেনেই হয়েছে টেন্ডার। চোরের মায়ের বড় গলা। ৪ বছরের জন্য ১৫২ কোটির টেন্ডার দেওয়া হয়। স্বচ্ছভাবেই তা হয়। মনগড়া কথা বলছেন শুভেন্দু অধিকারী।"