scorecardresearch
 

বড় খবর : অভিষেকের BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি বাতিল হাইকোর্টের

গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে অভিষেক এই কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি ৫ অগাস্ট 'ছোট, বড় মাঝারি, সেজ, মেজ' সমস্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে ৮ ঘণ্টা ধরে অবস্থান করা হবে বলে জানান তিনি।

Advertisement
২১শের মঞ্চ থেকে দেওয়া ডাক বাতিল ২১শের মঞ্চ থেকে দেওয়া ডাক বাতিল
হাইলাইটস
  • গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে অভিষেক এই কর্মসূচির ডাক দেন।
  • বলেন, শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করা হবে। শুধুমাত্র বাড়ির বয়স্কদের ঢুকতে বের হতে দেওয়া হবে বলে জানান।
  • সোমবার আদালত জানায়, এর ফলে আমজনতার সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে এই ঘেরাও কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত।

ভেস্তে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচি। BJP নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা যাবে না। সাফ জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

গত ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময়ে অভিষেক এই কর্মসূচির ডাক দেন। তিনি ৫ অগাস্ট 'ছোট, বড় মাঝারি, সেজ, মেজ' সমস্ত বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছিলেন। শান্তিপূর্ণভাবে ৮ ঘণ্টা ধরে অবস্থান করা হবে বলে জানান তিনি। বলেন, শনিবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাড়ি ঘেরাও করা হবে। শুধুমাত্র বাড়ির বয়স্কদের ঢুকতে বের হতে দেওয়া হবে বলে জানান। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে বিজেপি নেতাদের ঘেরাও করতে বলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যকে বঞ্চনার করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। 

এদিকে এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে পৌঁছান। তিনি আবার অভিষেকের কর্মসূচিতে সামান্য 'সংশোধন' করেন। বলেন, ‘বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে ঘেরাও করতে হবে। নির্বাচনে যেমন ১০০ মিটার দূরে ক্যাম্প হয় ঠিক সেরকমই ক্যাম্প করতে হবে। তাতে কেউ বলতে পারবে না যে অবরুদ্ধ হয়েছে।’

এরপরে শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানায় বিজেপি।

আরও পড়ুন

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রথমে কলকাতার হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সোমবার আদালত জানায়, এর ফলে আমজনতার সমস্যা হতে পারে। সেই কারণে এই ঘেরাও কর্মসূচি বাতিলের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি। এটি জনস্বার্থ বিরোধী, পর্যবেক্ষণ আদালতের। এর ফলে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হতে পারেন বলেও উল্লেখ করা হয়। 

Advertisement