scorecardresearch
 

কালীপুজোয় বাজিতে 'না', করোনা আবহে আবেদন মুখ্যসচিবের

এবছর কালীপুজোয় (Kali Puja) বা দেওয়ালিতে (Diwali) বাজির (Firecrackers) ব্যবহার করবেন না, মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে আবেদন জানালেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ সেগুলি তো ব্যবহার করবেনই না, তার ওপরেও এইবছর কেউ বাজির ব্যবহার করবেন না। দুর্গাপুজোর বিসর্জনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, কালীপুজোর সময়েও আমাদের আবেদন অনুরূপ ভাবে শান্ত ভাবে সকল উদযাপন করুন।" এছাড়া বিসর্জনের ক্ষেত্রেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরমর্শও দেন আলাপনবাবু।

Advertisement
প্রতীকী ছবি প্রতীকী ছবি
হাইলাইটস
  • কালীপুজোতে এবছর বাজি না ব্যবহারের আবেদন
  • রাজ্যের তরফে আবেদন মুখ্যসচিবের
  • বিসর্জনের জন্য স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ

এবছর কালীপুজোয় (Kali Puja) বা দেওয়ালিতে (Diwali) বাজির (Firecrackers) ব্যবহার করবেন না, মঙ্গলবার রাজ্যের তরফে আবেদন জানালেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে যে সমস্ত বাজি নিষিদ্ধ সেগুলি তো ব্যবহার করবেনই না, তার ওপরেও এইবছর কেউ বাজির ব্যবহার করবেন না। দুর্গাপুজোর বিসর্জনে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, কালীপুজোর সময়েও আমাদের আবেদন অনুরূপ ভাবে শান্ত ভাবে সকল উদযাপন করুন।" এছাড়া বিসর্জনের ক্ষেত্রেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার পরমর্শও দেন আলাপনবাবু।

জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে আলোচনা হয় কালীপুজো প্রসঙ্গে। সেখানেই কালীপুজোয় কোনও বাজি না পোড়ানোর আবেদন জানানো হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠকে এসে রাজ্যবাসীর কাছে কালীপুজোয় ও দিওয়ালিত বাজি না ব্যবহারের আবেদন জানান মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । করোনা কালে রোগীদের শরীরে বাজির ধোঁয়া মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে, সেই কারণেই এবছর বাজি না পোড়ানোর আবেদন জানান মুখ্যসচিব। এছাড়াও দুর্গাপুজোর মতোই কালীপুজোতেও মাস্কের ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব বিধি আবশ্যিক করা হয়েছে। পাশাপাশি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বিসর্জনের শোভাযাত্রাতেও। 

কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ালে তার ধোঁয়া আরও ক্ষতি করতে পারে বলে ইতিমধ্যেই সতর্কবার্তা দিয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ। এদিকে কালীপুজোয় বাজি নিষিদ্ধ করা আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্টেও। সেই মামলাতেও করোনা পরিস্থিতিতে সমস্ত রকমের বাজি উৎপাদন বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির করার আবেদন জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানি হতে পারে হাইকোর্টে। যদিও এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো দুশ্চিন্তার ভাঁজ আতশ বাজি ব্যবসায়ীদের কপালে। কারণ বাজি ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সরকারের আবেদনের পাশাপাশি যদি আদালতও এবছর আতশ বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দেয় তাহলে রীতিমতো বিপাকে পড়তে হবে তাঁদের। সেক্ষেত্রে এখন আদালতের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন বাজি ব্যবসায়ীরা।

Advertisement

Advertisement