scorecardresearch
 

TMC Conflict: প্রবীণদের 'পুরনো সফটওয়্যার' খোঁচা TMC বিধায়কের, 'পৃথিবীর সব দলে দ্বন্দ্ব আছে,' বলছেন শোভনদেব

লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মতপার্থক্য' ঘিরেও আলোচনা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই আবহে এ বার মুখ খুললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সরব হয়েছেন বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীও।

Advertisement
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং নারায়ণ গোস্বামী (বাঁ দিক থেকে)। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং নারায়ণ গোস্বামী (বাঁ দিক থেকে)।
হাইলাইটস
  • তৃণমূলে প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব আরও জোরালো হচ্ছে।
  • মুখ খুললেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
  • সরব হলেন নারায়ণ গোস্বামীও।

যত দিন গড়াচ্ছে, তৃণমূলে প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব আরও জোরালো হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মতপার্থক্য' ঘিরেও আলোচনা চলছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এই আবহে এ বার মুখ খুললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বলেছেন, ' পৃথিবীর সব দলে দ্বন্দ্ব রয়েছে।' অন্য দিকে, অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী  'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই দলনেত্রী' বলার পাশাপাশি অভিষেকের ভূমিকার কথাও তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে প্রবীণদের 'পুরনো সফটওয়্যার' বলে খোঁচা দিলেন তিনি।সবমিলিয়ে বাংলার শাসকদলে নবীন বনাম প্রবীণের লড়াই চলছেই। 

কী বলেছেন শোভনদেব?


মঙ্গলবার হুগলির উত্তরপাড়ায় শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'দ্বন্দ্ব ছিল, আছে, থাকবে। পৃথিবীর সব দলে দ্বন্দ্ব রয়েছে। দ্বন্দ্ব নিয়েই তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা। বাংলার বুকে বিজেপিকে শূন্যে নামিয়ে আনাই আমাদের লড়াই।'

আরও পড়ুন


কী বলেছেন নারায়ণ?

মঙ্গলবার  নারায়ণ গোস্বামী বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আমাদের নেত্রী।' এর পাশাপাশি, তাঁর মন্তব্য, 'প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে সব দলকে। অনেকেই আছেন, যাঁদের সফটওয়্যারে আপডেট নেই। সেটা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না। মমতার কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন প্রজন্মের হাতে থাকলে, সেই তৃণমূল গ্রহণযোগ্য হবে। অভিষেকই পারবেন।' সোমবার মমতা-অভিষেকের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নারায়ণ বলেছেন, 'নেত্রী অসুস্থ। তাই  পিসির খোঁজ নিতে গিয়েছিলেন অভিষেক।'


গত কয়েক মাস ধরেই তৃণমূলে নবীন বনাম প্রবীণের লড়াই নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের এক কর্মসূচিতে অভিষেকের ছবি না-থাকা নিয়ে নতুন করে এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। এই দ্বন্দ্বের আবহে স্বয়ং তৃণমূলনেত্রী বলেছিলেন, 'পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। আর নতুনরা আগে বাড়ে। দলের সিনিয়র লিডারদের সম্মান দিতে হবে।' প্রবীণ-নবীন, দু'জনেরই প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছিলেন মমতা। তার পরেও জোড়াফুল শিবিরের অন্দরের লড়াই যে জারি রয়েছে, তার আঁচ পাওয়া যায় গত বছর শেষের মুখে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে নিজেকে 'সীমাবদ্ধ' করতে চান, এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই বাংলার শাসকদলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ঘিরে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়। সূত্র মারফৎ এ-ও জানা যায় যে, সম্প্রতি দলের পাঁচ নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজ্য প্রশাসনের কয়েক জন আমলাকে নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন অভিষেক। এর মধ্যেই ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, 'আসন্ন নির্বাচনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লড়াই করেন, আমার ধারণা, নিশ্চিত ভাবে তিনি লড়াইয়ের ময়দান থেকে পিছিয়ে যাবেন না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জোড়াফুলের হয়ে লড়াই করবেন।' সুব্রতের এই মন্তব্য ঘিরে নতুন বছরের প্রথম দিন তৃণমূলের একাধিক নেতার নানা মন্তব্য প্রকাশ্যে আসে। যা ঘিরে নতুন বছরের শুরুতেই তৃণমূলের নেতাদের মধ্যে নিরন্তর কাজিয়া চলতে থাকে। এই পটভূমিতেই সোমবার সন্ধ্যায় কালীঘাটে মমতার বাড়িতে যান অভিষেক। প্রায় আড়াই ঘণ্টা সেখানে ছিলেন অভিষেক। দলের অন্দরে দ্বন্দ্বের আবহে মমতা-অভিষেকের সাক্ষাৎ বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে। 

Advertisement

তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন বাংলার বিরোধী দলের নেতারাও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, 'বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তৃণমূল। বিসর্জনের বাজনা বেজেছে।' প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেছেন, 'নবীন-প্রবীণের স্ক্রিপ্ট তৈরি হচ্ছে বিজেপির দফতর থেকে। যেদিন থেকে খোকাবাবু দিল্লিতে ইডির দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন, তার পর থেকে পাল্টি খেয়েছেন। কংগ্রেসের বিরোধিতা করেছেন। লড়াইয়ের গল্প বিজেপির।'

TAGS:
Advertisement