Durga Puja 2023: বিদ্যুতের বিলে আরও ছাড়, পুজো কমিটিগুলিকে কী কী করতে হবে? একগুচ্ছ নির্দেশিকা মমতার
সামনে দুর্গাপুজো। তার আগে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা-ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, যাতে কোনও হঠাৎ সমস্যা হলে তার সুরাহা করতে হবে। পুলিশ কনট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে। মেয়েদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে। এদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক এবং সমন্বয় বৈঠক ছিল।
দুর্গাপুজোর নির্দেশিকা - কলকাতা,
- 22 Aug 2023,
- (Updated 22 Aug 2023, 5:53 PM IST)
হাইলাইটস
- দুর্গাপুজো সামনেই। তার আগে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা-ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- তিনি জানান, যাতে কোনও হঠাৎ সমস্যা হলে তার সুরাহা করতে হবে।
- পুলিশ কনট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে। মেয়েদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে। এদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক এবং সমন্বয় বৈঠক ছিল।
সামনে দুর্গাপুজো। তার আগে পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা-ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, যাতে কোনও হঠাৎ সমস্যা হলে তার সুরাহা করতে হবে। পুলিশ কনট্রোল রুম ২৪ ঘণ্টাই কাজ করবে। মেয়েদের নিরাপত্তায় জোর দেওয়া হবে। এদিন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রশাসনিক এবং সমন্বয় বৈঠক ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী পুজো উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তিনি বলেন:
- পুজো কমিটিগুলিকে বলব, আগের মতোই আপনারা এবারে ভলেন্টিয়ার বেশি রাখুন।
- এই ভলেন্টিয়ার হতে বাচ্চারা খুব পছন্দ করে। আমি একদম বাচ্চা বলছি না। নাইন-টেনের ছেলেমেয়েরা যারা আছে, ইলেভেন-টুয়েলভের... আমি কিন্তু দেখেছি তারা একটি ব্যাজ পরে দড়িটা ধরে রাখে, ভিড় নিয়ন্ত্রণ করে, মানুষকে এক দিক দিয়ে ঢোকায়-বের করে। পুলিশের কাজে সহযোগিতা করে।
- ভিড় এড়াতে আলাদা প্রবেশ পথ ও বের হওয়ার রাস্তা করুন।
- প্রতিটি মণ্ডপে বিদ্যুত সংযোগ, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, এসব নিয়ম মেনে করতে হবে। যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
- স্থানীয় প্রশাসনকে বিসর্জনের জায়গায় আলো,ব্যারিকেডের ব্যবস্থা করতে হবে। যারা জেলায় আছে, কলকাতা ছাড়াও সর্বত্র এই নিয়ম প্রযোজ্য।
- যদি কোনও ইমার্জেন্সি হয়, তার জন্যও তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। পর্যাপ্ত অ্যাম্বুলেন্স, চিকিৎসক, নার্সের ব্যবস্থা হাতের কাছে রাখতে হবে।
- এর জন্য স্থানীয় হাসপাতাল, এমনকি বেসরকারি নার্সিংহোমের সঙ্গেও কথা বলে রাখতে হবে।
- পাবলিক অ্যানাউন্সমেন্ট সিস্টেমে জোর দিতে হবে। ভিড়ের সময়ে মাইকে বারবার ঘোষণা করতে হবে। 'আস্তে আস্তে আসুন। অযথা ভিড় করবেন না।' কারণ কোটি-কোটি মানুষ আসেন। এক-এক সময়ে প্রচুর লোক আসেন।
- সুজিত বোসকে হালকা ধমক দিয়ে বলেন, দমদমে যেন বিমানবন্দরের যাতায়াতে সমস্যা না হয়। পুজোর কারণে যেন সেখানে প্রতিবারের মতো ভিড় না হয়।
- কেউ যখন লাইন দেয়, সে অন্তত ২ মিনিট মণ্ডপে দাঁড়াতে চায়। সবার হাতে ফোন। যেন ছবি তোলার সময়টুকু পায়।
- জনকল্যাণমূলক হোর্ডিং লাগাবেন। ট্যুরিজম দফতর থেকে হোর্ডিং দেওয়া হবে। আমাদের খেল উৎসব, ইকোনমিক করিডর ইত্যাদির হোর্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিতে হবে হোর্ডিংয়ে।
- কার্নিভালে যারা অংশ নেবে, তারা বাদে বাকি পুজো কমিটিরা আগে বিসর্জন দিয়ে দেবে।
- এটা আমার একটি পরামর্শ, এলাকায় যত বৃদ্ধাশ্রম আছে, তাঁদের পুজোর কয়েকদিন একটু ভোগ খাওয়াবেন।
- পুজোর অনুদান ৬০ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৭০ হাজার টাকা করলাম। বিদ্যুতের বিলের দুই-তৃতীয়াংশ দিতে হবে না(এতদিন তাই ছিল )। এক-চতুর্থাংশ দিলেই হবে।
- দমকলের অনুমোদনও বিনামূল্যে। কোনও টাকা দিতে হবে না।