দেশজুড়ে লোকসভার পর বিধানসভা উপনির্বাচনেও বিজেপির ফল আশানুরূপ নয়। লোকসভা নির্বাচনের পরে, ৭ রাজ্যের ১৩ টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার তার ফলাফল এসেছে, ইন্ডিয়া জোট উপনির্বাচনে দুর্দান্ত ফল করেছে, অন্যদিকে বেশ কিছু আসন হারাল বিজেপি। ১৩টির মধ্যে ১০টি আসন ইন্ডিয়া জোটের খাতায়, যেখানে ২টি আসন ধরে রাখল বিজেপি এবং একটি আসন গেছে নির্দলে। শনিবার মুম্বই থেকে ফিরে এনডিএর হার নিয়ে বিজেপিকে বিঁধলেন মমতা।
বললেন, "সারা ভারতেই বিজেপি পর্যুদস্ত হয়েছে। অল ইন্ডিয়ায় ট্রেন্ড বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট গেছে। এনডিএ-র দিকে নয় ইন্ডিয়ার দিকে ভোট এসেছে। তারা ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে, আর ইন্ডিয়া ৫১% ভোট পেয়েছে। ন্যায় সংহিতা জানি না কী আইন। চিকিৎসক, সাংবাদিকরা খুব ভয়ে আছে। এই বিল আনাটাই অন্যায় ছিল। বিরোধী সাংসদদের সাসপেন্ড করে বিলটি পাস করানো হয়। পুলিশ, আইনজীবীরাও জানেন না, নতুন আইনটা কী। এটি সঠিকভাবে প্রশাসন চালাতে সমস্যা করবে। আমাদেরও নিট ও ন্যায় সংহিতা বিলের বিরুদ্ধে বিধানসভা অধিবেশনে বিতর্ক হবে।"
রাজ্যে চার আসনে তৃণমূলের জয় প্রসঙ্গে বলেন, "চারটি আসনের একমাত্র মানিকতলা আমাদের ছিল, গত ২ বছর কোর্টে কেস করে এখানে ভোট করতে দেয়নি, জেতাটা খুব ভালো জেতা। চারটির মধ্যে তিনটি বিজেপির সিট ছিল, চারটিই জিতেছে তৃণমূল। এর জন্য মানুষকে আমি শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। এই জয় মানুষের জয়। নতুন করে সমাজ সংস্কার, বাংলার অস্তিত্ব রক্ষায় শান্তি, সম্প্রীতি সংহতি নিয়ে আগামী দিনে কাজ করব। লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনের জয় উৎসর্গ করব একুশে জুলাই। অনেক চক্রান্ত সত্ত্বেও মানুষ ভোট দিচ্ছে।"
মুম্বইয়ে অনন্ত অম্বানীর বিবাহ অনুষ্ঠান থেকে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানান। বলেন, "উদ্ধব ঠাকরে, শরদজিদের চিনি, মুম্বই গেছি, দেখা করব না, হয় না। অখিলেশও তাই। ভোটের পর দেখা হল, দুটো কথা হল। মুকেশজি আমাদের অনেক সম্মান দিয়েছেন। অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে। অমিতাভজির সঙ্গে দেখা হয়েছে। আমি আবার তাঁকে আসতে বলেছি। তিনি বলেছেন, আমি তো সব বলে ফেলেছি, বলেছি, এসে কবিতা বলতে। শাবানাজি ও জাভেদ আখতারের সঙ্গে দেখা হল, তাঁরা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসবেন। শাহরুখের সঙ্গে দেখা হয়নি, অনেক ভিড় ছিল। শচিনের সঙ্গে দেখা হয়েছে। লালু-তেজস্বী, বসুন্ধরার সঙ্গেও দেখা হল। তিনি আমার পুরনো বন্ধু, কারণ আমরা সহকর্মী ছিলাম।"
সর্বোপরি লোকসভার পর বিধানসভাতে জয়ে ক্রমশ শক্ত হচ্ছে ইন্ডিয়ার হাত।