Kartik Maharaj: ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের বেলডাঙা শাখার প্রধান কার্তিক মহারাজকে নিয়ে এবার বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বপ্রথম মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধানকে নিয়ে মুখ খোলেন। এবার অধীর বললেন, "সাধুর চরিত্র কী, তা এখানকার মানুষ সকলেই জানেন।"
সাংবাদিক বৈঠকে অধীর চৌধুরীকে কার্তিক মহারাজ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলা বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “ধর্মের কথা অপরকে না বলে, নিজে শিখুন, নিজে পড়ুন। আপনি আচারি ধর্ম। নিজে আগে ধর্ম পালন করুন, তারপর লোককে শেখান।”
আবার এ-ও বলেন, "যাঁর কথা বলেছেন, তিনি এখানে সেইভাবেই পরিচিত। তার পরিচিতি নিয়ে এখানে বহু মানুষের প্রশ্ন রয়েছে। সাধুসন্তের যেরকম চরিত্র হওয়া প্রয়োজন, সেই চরিত্র তাঁর নেই। তিনি সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসাবেই এখানকার মানুষের কাছে পরিচিত। তিনি কখনও তৃণমূলের, কখনও বিজেপির, কখন তিনি কার দলের সমর্থক, তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে।"
গত শনিবার হুগলিতে একটি নির্বাচনী জনসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, 'সব সাধু তো সমান হয় না। সব স্বজনও সমান হয় না। আমরাও কি সবাই সমান? এই যে বহরমপুরের একজন মহারাজ আছেন। আমি শুনেছি অনেক দিন ধরে, কার্তিক মহারাজ। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘকে আমি খুব শ্রদ্ধা করতাম। তারা আমার শ্রদ্ধার তালিকায় অনেক দিন ধরে আছে। কিন্তু যে লোকটা বলে আমি তৃণমূল কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে দেব না, সেই লোকটাকা আমি সাধু বলে মনে করি না। তার কারণ তিনি ডাইরেক্ট পলিটিক্স করে দেশের সর্বনাশ করছেন।'
কার্তিক মহারাজকে করা এই মন্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়। রাজ্য বিজেপির তরফে এর তীব্র নিন্দা করা হয়। মুখ খোলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সংখ্যালঘু কট্টরপন্থীদের ভোট পেতে মুখ্যমন্ত্রী সন্ন্যাসীদের আক্রমণ করছেন বলে প্রকাশ্য জনসভা থেকে মন্তব্য করেন তিনি।
তবে এর পাল্টা কার্তিক মহারাজ চিঠিতে সাফ জানান, 'মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের ফলে তাঁর মানহানি হয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের মন্তব্যের কোনও সারবত্তা নেই। অসত্য ও বিভ্রান্তকর মন্তব্য করেছেন তিনি।' ওই চিঠিতে আগামী চার দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়েছে। জবাব না দিলে আইনি পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছে সেই চিঠিতে।