scorecardresearch
 

'...ব্যবস্থা হয়ে যাবে', CPIM-এর ৬৫ বছর আগের সুপারিশের চিরকুট VIRAL

সিপিএম আমলে চিরকুটে যাদের চাকরি হয়েছে, সেইসব তালিকা বের করতে হবে। জানা গেছে, কালীঘাটে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে সিপিএমই (CPM) নিজেদের নেতার লেখা চিরকুট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিল।

Advertisement
সেই চিরকুট। সেই চিরকুট।
হাইলাইটস
  • সিপিএম আমলে চিরকুটে যাদের চাকরি হয়েছে, সেইসব তালিকা বের করতে হবে।
  • জানা গেছে, কালীঘাটে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই নির্দেশ দিয়েছেন।

সিপিএম আমলে চিরকুটে যাদের চাকরি হয়েছে, সেইসব তালিকা বের করতে হবে। জানা গেছে, কালীঘাটে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই নির্দেশ দিয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে সিপিএমই (CPM) নিজেদের নেতার লেখা চিরকুট সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিল।

তবে এই চিরকুটটি কোনও চাকরির সুপারিশের নয়। বাম জমানারও নয়। ১৯৫৮ সালের ১২ জুন সেই চিঠি লেখা। তখন অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির রাজ্য দফতরের ঠিকানা ছিল ৬৪ লোয়ার সার্কুলার রোড।

চিরকূটটি লিখেছেন মুজফফর আহমেদ। যাকে সকলেই কাকাবাবু হিসেবে চেনেন। আহমেদ এক কবিরাজকে চিঠি লিখছেন এই মর্মে যে, কবি নজরুলের পরিচারক কুশা সাউকে তিনি পাঠাচ্ছেন। কবিরাজ যেন তাঁর চিকিৎসার বন্দোবস্ত করেন। কোন কবিরাজ তা স্পষ্ট নয়। তবে কমিউনিস্ট আন্দোলনের ইতিহাস বলছে, নরহরি কবিরাজের সঙ্গে কাকাবাবুর দারুণ সম্পর্ক ছিল। হতে পারে কুশা সাউয়ের হাত দিয়েই এই সুপারিশ চিঠি তিনি লিখেছিলেন।

আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতি: এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব ED-র

কবি নজরুলের সঙ্গে কাকাবাবুর বন্ধুত্ব কেমন ছিল তা কমবেশি অনেকেরই জানা। দুজনের দু’জনকে লেখা চিঠিপত্র বই আকারেও প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনা হল এই চিঠি যখন কাকাবাবু লিখছেন তখন নজরুলের অসুস্থতা শুরু হয়েছে। কিন্তু চলচ্ছক্তিহীন হয়ে পড়েননি। হতে পারে সে কারণেই তাঁর পরিচারকের বিষয়ে বাড়তি। 

শুক্রবার কালীঘাটে বৈঠক ডেকেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের মাঝেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) মমতা বলেন, ১৯৯০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত চিরকুটে (Chirkut) যাদের চাকরি হয়েছে তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে হবে। তারপরই সিপিএমের এই চিরকূট ভাইরাল। 

 

Advertisement