scorecardresearch
 

Bhupatinagar: 'অপরাধী, নেতা ও আমলাদের বোঝাপড়া...' ভূপতিনগরে NIA-এর উপর হামলায় বিশ্লেষণ রাজ্যপালের

'কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রাজনীতিবিদ, আমলা এবং অপরাধীদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে,' বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ভূপতিনগরে NIA-এর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'গুন্ডারা এই অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের কথাই আইন।'

Advertisement
NIA-এর টিমের উপর হামলার তীব্র নিন্দা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের NIA-এর টিমের উপর হামলার তীব্র নিন্দা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের
হাইলাইটস
  • 'কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রাজনীতিবিদ, আমলা এবং অপরাধীদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে,' বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।
  • শনিবার ভূপতিনগরে NIA-এর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'গুন্ডারা এই অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের কথাই আইন।'
  • ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভূপতিনগরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। তারই তদন্তে শনিবার ভোররাতে একটি অভিযানে যায় NIA-এর টিম। কিন্তু ভূপতিনগরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি যেতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি।

'কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় রাজনীতিবিদ, আমলা এবং অপরাধীদের মধ্যে বোঝাপড়া রয়েছে,' বললেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শনিবার ভূপতিনগরে NIA-এর উপর হামলার তীব্র নিন্দা করেন তিনি। ইন্ডিয়া টুডে টিভি-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'গুন্ডারা এই অঞ্চলগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাদের কথাই আইন।'

২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভূপতিনগরে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। তারই তদন্তে শনিবার ভোররাতে একটি অভিযানে যায় NIA-এর টিম। কিন্তু ভূপতিনগরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের বাড়ি যেতেই শুরু হয় ধস্তাধস্তি। NIA আধিকারিকদের গাড়ি ভাঙচুর, ইটবৃষ্টি শুরু করে গ্রামবাসীদের একাংশ। তাতে এনআইএ-র একজন অফিসার আহত হন। ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির তুলনা করছেন অনেকে।

সিভি আনন্দ বোস বলেন এই 'হিংসার সংস্কৃতি' নিয়ন্ত্রণ করার মূল দায়িত্ব রাজ্য সরকারের উপরেই বর্তায়। তিনি আরও বলেন, 'কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করা হলে, তবেই এই অপরাধগুলি বন্ধ হবে।'

আরও পড়ুন

গভর্নরের মতে, 'কঠিন পুলিশি পদক্ষেপ এবং কঠোর আইনি পদক্ষেপ' দিয়েই 'অপরাধীদের' থামানো যেতে পারে। তিনি যোগ করেন, এই যখন 'অপরাধীরা' দেখে যে আইন 'তাদের ধরছে না', তখন তারা আরও আস্কারা পেয়ে যায়।

সিভি আনন্দ বোস জানান, রাজ্য সরকারকে এনআইএ টিমের উপর হামলার রিপোর্ট জমা দিতে বলবেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একটি ক্ষেত্রে একমতও হন রাজ্যপাল। তিনি জানান, ১৭ এপ্রিল রাম নবমীকে ঘিরে রাজ্যে দাঙ্গা শুরু হওয়ার আশঙ্কা করেছিলেন। তিনি বলেন 'আমি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একমত যে কিছু মানুষের আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা রয়েছে।'

ভোট চলাকালীন বা ভোট-পরবর্তী হিংসার সম্ভাবনা রয়েছে? এর উত্তরে সিভি আনন্দ বোস বলেন, 'অতীতে যা ঘটেছে এবং বর্তমানে যা ঘটছে তার উপর ভিত্তি করে একটি বিশ্লেষণ করে আমার যা মনে হচ্ছে... নির্বাচনের সময় বাংলার কিছু পকেটে হিংসার ঘটনা ঘটতে পারে।'

Advertisement

তিনি অবশ্য এটাও বলেন যে, এই বিষয়ে তাঁর কোন সন্দেহই নেই যে এই জাতীয় কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, 'কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। রাজ্যের বাহিনী আছে। তার চেয়েও বড় কথা, ভারতের অদম্য নির্বাচন কমিশন আছে।'

ইনপুট: সূর্যাগ্নি রায়।

Advertisement