Cyclone Asna: আবারও তৈরি হল এক ঘূর্ণিঝড়। গুজরাট উপকূলের কাছে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণিঝড় 'আসনা'। এর প্রভাবে গুজরাটে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ আরব সাগরের দিকে সরছে। এর প্রভাব কি বাংলায় পড়তে পারে? এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এই নিয়ে মুখ খুলল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বাংলায় কি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে?
এই প্রসঙ্গে bangla.aajtak.in-কে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত বলেন, 'না, না, বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। ওটা আরব সাগরে তৈরি হয়েছে। বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না।' তিনি আরও জানান যে, সম্প্রতি যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে, তার প্রভাবে রাজ্যের কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি কচ্ছ এবং সংলগ্ন পাকিস্তানের উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থান করছে। সেটি ক্রমশ উত্তর-পূর্ব আরব সাগরের পশ্চিম দিকে সরবে। করাচির দিকে এগোচ্ছে ঝড়টি। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতীয় উপকূলর থেকে দূরে সরে যাবে।
এই ঘূর্ণিঝড়টির নাম দিয়েছে পাকিস্তান। গত ৮০ বছরে মাত্র ৪ বার এমন ঘূর্ণিঝড় দেখা গিয়েছে। নিম্নচাপ সাধারণত সমুদ্রে তৈরি হয়। তার পরে তা শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে। 'আসনা'র ক্ষেত্রে উল্টো ঘটেছে। নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে স্থলে। তার পরে তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে সমুদ্রে।
অন্য দিকে, পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় হাল্কা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দার্জিলিং-সহ উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও হাল্কা থেকে মাঝারি বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে ঘণ্টায় ৩৫-৪৫ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ৫৫ কিমি। যার জেরে উত্তাল হতে পারে সমুদ্র। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।