Cyclone Dana Updates: বঙ্গোপসাগরে চোখরাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ইতিমধ্যেই দানা শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিয়েছে। ক্রমেই স্থলভাগের দিকে এগোচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশের ভোলবদল। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। কোনও কোনও এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ দক্ষিণবঙ্গের কোনও কোনও জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ মধ্য রাত এবং আগামীকাল ভোরে উত্তর ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পুরী এবং সাগরদ্বীপের মধ্যে অতিক্রম করতে পারে সাইক্লোন। ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে দানা। ঝড়ের গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি। সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১২০ কিমি। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ থেকে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরে প্রবল বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পুরুলিয়া-সহ দক্ষিণের বাকি জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শনিবার দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ছে উপকূলে, সঙ্গে চলছে ঝড়ও।
১৩ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে স্থলভাগের দিকে এগিয়ে আসছে ‘দানা’। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই ওডিশা উপকূলে তার আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অফিস। ল্যান্ডফলের স্থান ভিতরকণিকা ও ধামারাতে। ইতিমধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে ধামরা সমুদ্র সৈকতে। সমুদ্রতটে দৃশ্যমানতা কার্যত নেই বললেই চলে। বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হাওয়ার দাপট।
দানা মোকাবিলায় রাত জাগছেন মুখ্যমন্ত্রী।
#WATCH | West Bengal CM Mamata Banerjee visits state Government Control Room in Howrah to monitor the situation ahead of the expected landfall of cyclone 'Dana' later tonight pic.twitter.com/z4bHXDdtq4
— ANI (@ANI) October 24, 2024
পারাদীপ থেকে আর ৬০ কিমি দূরে রয়েছে দানা। প্রতি ঘণ্টায় বুলেটিন প্রকাশ করছে হাওয়া অফিস।
ধামারা থেকে আর ৯০ কিমি দক্ষিণ দক্ষিণ-পূর্বে রয়েছে ‘দানা’। এটিই সম্ভাব্য ‘ল্যান্ডফলের’ স্থান। সাগরদ্বীপ থেকে এখনও ১৯০ কিমি দূরে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়।
বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার উপকূলে তার ‘ল্যান্ডফল’ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে। তা চলবে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। এর ফলে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার মৌসম ভবনের ডিজি মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, ‘চোখ’ না থাকলেও ‘দানা’ তাণ্ডব চালাবে উপকূলে। ভারী বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা থাকছে। ‘ল্যান্ডফলের’ পর ঘূর্ণিঝড় দক্ষিণ পশ্চিম দিকে বাঁক নেবে। তার পর ক্রমে তার শক্তিক্ষয় হবে।
আপাতত গতি কম। তবে শক্তি সঞ্চয় করছে ঘূর্ণিঝড় দানা। ধামারা থেকে ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে এই ঘূর্ণিঝড়। রাত যত বাড়বে তত শক্তি বাড়াবে দানা।
ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে পুরীতে ভারী বৃষ্টি। ওড়িশা জুড়েই চলছে তাণ্ডব।
সামান্য গতি বাড়াল ঘূর্ণিঝড় দানা। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় এর গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১১০ কিমি। তবে এখন ১৩ কিমি বেগে এই ঝড় আসছে। এর আগে গতিবেগ ছিল ১০ কিমি প্রতি ঘণ্টায়।
রাত ৮টার পর শিয়ালদা হাসনাবাদ ও দক্ষিণ শাখায় লোকাল ট্রেন চলাচল বন্ধ। ফাঁকা প্ল্যাটফর্ম।
বিদ্যুৎ ভবনে থাকছে কন্ট্রোল রুম। হেল্পলাইন নম্বর 8900793503/8900793504। টোল ফ্রি নম্বরে (19121) ডকেট কলও করা যাবে। কোনও অভিযোগ থাকলে হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে 8433719121 নম্বরে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ‘দানা’র তাণ্ডব চলবে অন্ধ্রপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ়, বিহার এবং তামিলনাড়ুতে। ইতিমধ্যেই বিহারের ১২ জেলায় সতর্কতা জারি করেছে রাজ্য প্রশাসন।
নবান্নে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সারা রাত কন্ট্রোল রুমে থেকে নজরদারি চালাবেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র কারণে কলকাতা বিমানবন্দর বন্ধ রাখার কথা বুধবারই ঘোষণা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কোনও বিমান ওঠানামা করবে না বলেও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়, ভুবনেশ্বরের বিজু পট্টনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে ১৬ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের দেওয়া আপডেট অনুযায়ী, পারাদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। ধামরা থেকে এর দূরত্ব ১৮০ কিলোমিটার। সাগরদ্বীপ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়।
কলকাতায় ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে। কলকাতায় আজ থেকে ঝড় চলবে রাতভর। ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে বলে অনুমান আবহবিদদের।
পশ্চিমবঙ্গের গাঙ্গেয় উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে প্রভাব পড়তে চলেছে সাইক্লোন দানার। পূর্ব মেদিনীপুরে ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার। রাজ্যের একাধিক জেলায় প্রভাব পড়তে চলেছে সাইক্লোন দানা-র। এই জেলাগুলি হলো পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে।
ডিভিসি-কে তোপ দেগে মমতা বলেন, ‘আবার ২৪ হাজার কিউসেক জল ছেড়েছে। এর থেকে ডিভিসি যদি খননটা ঠিক মতো করে, তাহলে আরও বেশি জল ধরে রাখতে পারে।’
সমুদ্রে ১৩ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে ‘দানা’। অভিমুখ মূলত উত্তর-পশ্চিম। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, ওড়িশার ভিতরকণিকা থেকে ধামারার মধ্যে ‘দানা’ আছড়ে পড়তে পারে।
‘দানা’য় সতর্ক কলকাতা পুরসভা। বাতিল হয়েছে পুর আধিকারিকদের বড় অংশের ছুটি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সতর্ক নিকাশি, সিভিক, বিদ্যুৎ ও আলো, উদ্যান, স্বাস্থ্য এবং জঞ্জাল সাফাই বিভাগ। পুর-প্রস্তুতির উপর নজরদারি চালাচ্ছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে আজ রাতে পুরসভাতেই থাকবেন তিনি