Dashami Rain: শক্তি বাড়ল ঘূর্ণিঝড় 'হামুনে'র। দুর্গাপুজোয় মোটামুটি আবহাওয়া ভালই গিয়েছে। কিন্তু পুজোর শেষে, দশমী-একাদশীতে কপাল পুড়তে পারে বঙ্গবাসীর। কেন? কারণ ভারী নিম্নচাপ ও ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দশমী ও একাদশীতে পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলাতে বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ৪০-৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝড়ো হাওয়া। ফলে বিজয়া দশমীর আনন্দ মাটি হতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছিল। মঙ্গলবার প্রকাশিত সর্বশেষ বুলেটিনে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শেষ ছয় ঘণ্টায় সেই ঘূর্ণিঝড় তীব্রতা বাড়িয়েছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'হামুন'। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হামুন নিয়ে পোস্ট করছেন অনেকে। নিম্নচাপের প্রভাবে নবমীর দুপুরেই হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনায় আকাশ মেঘলা হয়ে যায়। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের জেরে পুজোর আনন্দ সাময়িক ব্যাহত হয়। তবে বিকেল থেকে আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি থেমে যায়।
কিন্তু দশমীকে ভাগ্য ততটা প্রসন্ন না-ও হতে পারে। ১৮ কিলোমিটার বেগে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়েছে হামুন। পরিণত হয়েছে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। আর তার ফলে দশমীতে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, দশমী ও একাদশীতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়বে। এর ফলে দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের দুই-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। ২৪ অক্টোবর থেকে উপকূলের জেলাগুলিতে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগ সহ ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে এই নিম্নচাপ অগ্রসর হচ্ছে। আগামী ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশের উপর এই নিম্নচাপ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতায় মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।