দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হয়েছিল তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বলে জানাল আবহাওয়া দফতর। এটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং তীব্র হতে পারে। এবং ২ ডিসেম্বর শুক্রবারের মধ্যে দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের চারপাশে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তার নাম হবে 'মিগজাউম'।
আইএমডি নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। কয়েকটি বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসও রয়েছে। দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং সংলগ্ন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে ঘণ্টা সর্বোচ্চ ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ে হাওয়া বইতে পারে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরের মৎস্যজীবীদের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ফিরে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস ১ থেকে ৩ ডিসেম্বর উপকূলীয় তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরিতে এবং ২-৪ ডিসেম্বর উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে। এদিকে, আইএমডি জানিয়েছে যে একই সময়ে উপকূলীয় অন্ধ্রপ্রদেশের বিচ্ছিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ৩০ নভেম্বর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০-৫০ কিমি হতে পারে। দমকা হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ৬০ কিমি। ১ ডিসেম্বর থেকে বাতাসের গতিবেগ ৭০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে, যেখানে ২ ডিসেম্বর সকালে দমকা বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হতে পারে।
'মিগজাউম'-র কী প্রভাব বাংলায় পড়বে তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে আগামী কয়েকদিন মেঘলা আকাশ থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। যার কারণে শীত আবারও বাধা পেতে পারে। তাপমাত্রা নতুন করে বৃদ্ধি পেতে পারে কয়েক ডিগ্রি। সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বেশি থাকবে। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বাকি জেলাতে শুকনো আবহাওয়া থাকবে।