ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলীয় বাংলাদেশ এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে প্রায় উত্তর দিকে সরে গেছে। উত্তর-পশ্চিমে মোংলা (বাংলাদেশ), ক্যানিং (পশ্চিমবঙ্গ) এর ১০০ কিমি উত্তর-উত্তরপূর্বে, কলকাতার ১১০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে (পশ্চিমবঙ্গ) , খেপুপাড়া (বাংলাদেশ) থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং ঢাকা (বাংলাদেশ) থেকে ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। সিস্টেমটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আজ ২৭ মে ২০২৪ সন্ধ্যার মধ্যে ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে আরও দুর্বল হয়ে পড়বে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শক্তি খুইয়ে ক্রমশ উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে যাচ্ছে রিমাল। প্রতি ঘণ্টায় ঝড়টির গতিবেগ মাত্র ১৫ কিলোমিটার। সোমবার সকাল ৬টায় রেমাল পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ থেকে ১৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়া থেকে ১১০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। বিকেলের দিকে ঝড়টি আরও খানিকটা শক্তি কমিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে মনে করছেন আবহবিদেরা। রাতের দিকে গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর-পূর্বে অগ্রসর হয়ে সাধারণ নিম্নচাপে পরিণত হবে।
এদিকে, রবিবার রাতভর বৃষ্টি হয়েছে। সোমবারও বিরাম নেই। যার জেরে বিপর্যস্ত কলকাতা। উত্তর কলকাতার বেশিরভাগ এলাকাই কার্যত জলে ভাসছে। ক্যামাকস্ট্রিট, বালিগঞ্জ, পার্ক সার্কাস সহ জলমগ্ন শহরের একাধিক এলাকা। নানা জায়গায় রাস্তায় ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার। শহরের একাধিক জায়গায় গাছ ভেঙে পড়ায় অবরুদ্ধ বিভিন্ন রাস্তা। কলকাতা পুরসভার হিসেব অনুযায়ী সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে বেহালা ও বালিগঞ্জে।
কলকাতা পুলিশ ও কলকাতা পুরসভা গাছ সরানোর কাজ চালাচ্ছে। তবে বৃষ্টির কারণে ভেঙে পড়া গাছ সরাতে বেগ পেতে হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, বিভিন্ন রাস্তার নালা প্লাস্টিকে জ্যাম হয়ে রয়েছে। যেকারণে জল আটকে রয়েছে। ঠনঠনিয়া, কলেজস্ট্রিট ইত্যাদি জায়গায় জল জমে রয়েছে। পরিস্থিতি ঠিকঠাক হতে বিকেল হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।