scorecardresearch
 

Cruise service in Digha: পুজোয় গোয়ার স্বাদ দিঘায়, সস্তায় প্রমোদতরীতে হুল্লোড়-পার্টি; সঙ্গে আরও কী কী?

দিঘায় পর্যটকদের জন্য পুজোর আগে শুরু হতে চলেছে প্রমোদতরী পরিষেবা। এবার সৈকতে জলোচ্ছ্বাস দেখার পাশাপাশি প্রমোদ তড়িতে চেপে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। থাকবে নাচ গান খাওয়া-দাওয়া বিনোদন-সহ সমুদ্রে ঘোরার সুবিধা ।

Advertisement
 পুজোয় আরও আকর্ষণীয় দিঘা পুজোয় আরও আকর্ষণীয় দিঘা

মহালয়া পার করে নবরাত্রি শুরু হয়ে গিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে আর সময় বেশি নেই। পুজোর ছুটিতে অনেকেই কাছেপিঠে ঘুরতে যেতে দিঘাকেই বেছে নেই। আপনিও যদি সেই তালিকায় থাকেন তবে আপনার জন্য রয়েছে একটি সুখবর। দিঘায় পর্যটকদের জন্য পুজোর আগে শুরু হতে চলেছে প্রমোদতরী পরিষেবা। এবার সৈকতে  জলোচ্ছ্বাস দেখার পাশাপাশি প্রমোদ তড়িতে চেপে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন পর্যটকরা। থাকবে নাচ গান খাওয়া-দাওয়া বিনোদন-সহ সমুদ্রে ঘোরার সুবিধা ।  

সমুদ্র পর্যটন কেন্দ্র মানেই দিঘা বাঙালির প্রথম পছন্দ। সব ঋতুতেই বাঙালির কাছে দিঘা সমান জনপ্রিয়। বর্তমান রাজ্য সরকারের বহুমুখী পরিকল্পনায় সেজেগুজে দিঘার ব্র্যান্ডভ্যালু এখন আন্তর্জাতিক মানের। বছরের ১২ মাসই পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে দিঘায়। বাঙালির কাছে  দিঘা মানেই সমুদ্র আর জলোচ্ছ্বাসের আনন্দ। কিন্তু অধরা থাকে সমুদ্রে পাড়ি দিওয়ার আনন্দ। বাঙালি পর্যটকদের সেই আনন্দ দিতে  প্রমোদতরী শুরু করা হবে নব সংযোজন হিসেবে।

গোয়ার মতো দিঘার সমুদ্রেও নামতে চলেছে সুসজ্জিত প্রমোদতরী। এই খবর আগেই জানা গিয়েছে। এবার শওনা যাচ্ছে পুজোর আগেই এই পরিষেবা শুরু করে দেওয়া হবে। পুজোর আগে পর্যটকদের কাছে যা একটি নতুন আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন

‘এমভি নিবেদিতা’ নামের এই প্রমোদতরীটি হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা তুলে দিয়েছে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থার হাতে। 
পুজোর আগে দিঘার পর্যটন মানচিত্রে যুক্ত হতে চলেছে প্রমোদতরী।পর্যটকদের বিনোদনের জন্য এই প্রমোদতরীতে চেপে পর্যটকরা সমুদ্র বক্ষে ঘুরে বেড়াতে পারবেন,ফলে  দূর সমুদ্রের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হাতের মুঠোয় করতে পারবেন দীঘায় আগত পর্যটকরা । পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন জীবিকা মৎস্য শিকারের চিত্র সরাসরি দেখার সুযোগ পাবেন।

দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের প্রশাসক মানস মণ্ডল জানিয়েছেন প্রমোদতরীর টেন্ডার প্রক্রিয়া কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।খুব তাড়াতাড়ি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। চম্পা নদী ক্যানেল থেকে দিঘা মোহনা হয়ে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার শৌলা পর্যন্ত চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে এই প্রমোদতরীটি। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের কাছে দিঘাকে  আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে এই প্রমোদতরী। কারণ প্রমোদতরীতে পর্যটকদের জন্য থাকবে খাওয়া-দাওয়া পাশাপাশি বিনোদনের জন্য গান বাজনার ব্যবস্থা। ইতিমধ্যেই নায়েকালি ব্রিজ সংলগ্ন চম্পা নদী ক্যানলে জোর কদমে কাজ চলছে।

Advertisement

এতদিন দিঘায় পর্যটকরা সৈকত থেকেই সমুদ্রের রূপ উপভোগ করেছেন। এবার প্রমোদতরীতে চেপে সমুদ্রযাত্রার আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন তাঁরা। সমুদ্রের তীর বরাবর চলেছে দিঘা থেকে শৌলা পর্যন্ত দীর্ঘ ২৯ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ। মাঝখানে রয়েছে ঝাউবন। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব এবং মনোরম পরিবেশের মধ্য দিয়ে ভেসে চলবেন পর্যটকরা। ইতিপূর্বে কলকাতায় গঙ্গাবক্ষে প্রমোদতরী নামাতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরী এই প্রথমবার শুরু হতে চলেছে দ্ঘায়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পুজোর মরশুমে সমুদ্রবক্ষে প্রমোদতরীতে ভ্রমণের স্বাদ উপভোগের সুযোগ পাবেন পর্যটকরা। এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।  

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে রাজ্য ভূতল পরিবহণ নিগমের তরফ থেকে ‘এমভি নিবেদিতা’ নামে ভেসেলটি হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল, সেই ভেসেল নদীর মোহনায় ঘুরবে। ভেসেল অর্থাৎ প্রমোদতরীতে পর্যটকদের মনোরঞ্জন ও বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে। তা থেকে আয়ও হবে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি সহ অন্যান্য কারণে সেই উদ্যোগ শুরু হতে দেরি হয়। ফলে জলযানটি দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল। তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বছরে লক্ষাধিক টাকা খরচ হচ্ছিল হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থার। এই পরিস্থিতিতে হলদিয়া উন্নয়ন সংস্থা ভেসেলটি দিয়ে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থাকে। সেই প্রস্তাব অনুমোদনের পর ভেসেলটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই জলযানটি দীঘার অদূরে শঙ্করপুরের ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন সমুদ্র থেকে ছাড়বে। দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণির পাশাপাশি খাঁড়ি এলাকাগুলিতেও ভ্রমণ করবে জলযানটি। অত্যাধুনিক সুবিধাযুক্ত এই জলযানে  রেস্তরাঁর পাশাপাশি থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা। আবার সন্ধ্যার সময় আলোকোজ্জ্বল পরিবেশে নাচগানের ব্যবস্থাও থাকবে। সেখানে বাউল সহ বিভিন্ন লোকসঙ্গীত এবং আধুনিক গান পরিবেশিত হবে। পর্যটকরা সমুদ্রের শোভা দেখতে দেখতে আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। যাত্রাপথে সমুদ্রতীরবর্তী মৎস্যজীবীদের গ্রাম এবং তাঁদের কর্মকাণ্ড দেখার সুযোগ রয়েছে। যাত্রা শেষে ফের ন্যায়কালী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ফিরে আসবে প্রমোদতরীটি। প্রয়োজনে ছোটখাট অনুষ্ঠান, পার্টি প্রভৃতির জন্য ভাড়া করা যাবে এমভি নিবেদিতা। সব মিলিয়ে দিঘায় এবার  দ্বিগুন আনন্দ পেতে চলেছ  পর্যটকেরা।

Advertisement