বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী তীব্র ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, মমতার সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে হস্তক্ষেপ করছে এবং হিন্দু ধর্মের ঐতিহ্য ও বিশ্বাসের অবমাননা করছে। শুভেন্দুর এই মন্তব্য ঘিরে ওয়াকিবহাল মহলে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
পুরীর নকল করার অভিযোগ
শুভেন্দু সরাসরি অভিযোগ করেছেন, মমতা সরকার পুরীর ধামের মতো স্থাপত্য তৈরি করতে চাইছে, যা তিনি "হিন্দু ধর্মের অপমান" বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, "চারধামের একধাম পুরীধাম। পুরীধামকে নকল করার অধিকার কোনও হিন্দু আপনাকে দেয়নি।" শুভেন্দু আরও দাবি করেন, "গীতার মতো পুরীধামেরও বিকল্প হতে পারে না।"
ইসকন এবং রাধারমণ দাসের প্রসঙ্গ
শুভেন্দু বলেন, ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা প্রভুপাদ চৈতন্যদেবের ভাবধারাকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসকনের রাধারমণ দাস এই বিষয়ে কোনও প্রতিবাদ না করে চুপ করে থেকেছেন। শুভেন্দুর মতে, "চৈতন্যদেবের পুরীধামের ভাবমূর্তি নষ্ট করার বিরুদ্ধে রাধারমণের আপত্তি জানানো উচিত ছিল।"
মমতার হিন্দুত্ব নিয়ে প্রশ্ন
মমতার হিন্দুত্বের অবস্থান নিয়েও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আপনি একটা ভেজাল হিন্দু।" তাঁর আরও দাবি, "২০২৬ সালে হিন্দু ভোট মমতার পক্ষে যাবে না।"
কালীঘাট মন্দিরের প্রসঙ্গ
কালীঘাট মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃতিত্বের দাবিকে অস্বীকার করে শুভেন্দু বলেন, "মন্দিরের চূড়ায় স্বর্ণ লাগানো হচ্ছে কর্পোরেটের সিএসআর তহবিল থেকে। এতে মুখ্যমন্ত্রীর কোনও ভূমিকা নেই।"
সরকারি টাকায় ধর্মীয় কর্মকাণ্ডের অভিযোগ
শুভেন্দুর অভিযোগ, "সরকারি টাকায় ধর্মীয় পারফরম্যান্স করা যায় না।" তিনি দাবি করেন, "হিন্দুরা নিজের টাকায় তাদের ধর্মীয় স্থাপনা গড়ে তুলতে সক্ষম। সরকারের এই ভূমিকা অসাংবিধানিক।"
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব আরও তীব্র হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে এখনও এই বিষয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া আসেনি, তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এটি হিন্দু ভোটব্যাঙ্ক কেন্দ্রিক রাজনৈতিক কৌশলের একটি অংশ।