নন্দীগ্রামে জনসভা করে ফেরার পথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাকে নাটক বলেই বৃহস্পতিবার উল্লেখ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে 'এসব নাটক করে আর ভোট জেতা যাবে না' এমন কথাও শোনা যায় বিজেপি নেতার গলায়।
দিলীপের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়েছেন। ওনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকলেও কী করে মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ ধাক্কা দিল? এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি করছি। রাজ্য পুলিশ কি অকর্মণ্য হয়ে গিয়েছে? জেড প্লাস সিকিউরিটি পাওয়া মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ কীভাবে আঘাত করে পালিয়ে যেতে পারল।" এরপরই মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, "যে কেউ পায়ে ব্যান্ডেজ বেঁধে শুয়ে পড়তে পারেন। ওই ছবি দিয়ে ভোট পাওয়া যাবে না। আমাদেরও তো কত চোট লেগেছে। তাই বলে নাটক করিনি। আসলে নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকাই হয়।”
বিজেপির তরফে টুইটে বলা হয়, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়য়ের উপর আক্রমণ হচ্ছে এমন কোনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই। বরং নন্দীগ্রামের লোকেরা তাঁর উপর ক্ষুদ্ধ। সেখানে গিয়ে উনি নিজেই আত্মবিশ্বাস হারিয়েছেন।" উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে নন্দীগ্রাম। এবারের লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম একদা তাঁরই বিশ্বস্ত সৈনিক শুভেন্দু অধিকারির সঙ্গে।
তবে এদিন বঙ্গবাসীকে সতর্ক করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, "“এই সবে শুরু হয়েছে আরও অনেক ভয়ঙ্কর ঘটনা হতে পারে নির্বাচন জেতার জন্য। যারা হেরে যাচ্ছে তাঁরা যেকোনও জায়গায় নামতে পারে। সবে নাটক শুরু হয়েছে। আরও অনেক কিছু হবে। আমি বাংলার মানুষকে সাবধান থাকতে বলব। এই দুর্বৃত্ত, যারা চালাকি করে ভোট জেতার চেষ্টা করছে তাঁদের থেকে সাবধান থাকতে।
এই মুহুর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বৃহস্পতিবার দুপুরে এসএসকেএম-এর অধ্যক্ষ মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বাঁ পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা রয়েছে। ফের এক্স-রে এবং সিটি স্ক্যান করে হবে। তাঁর শরীরে সোডিয়ামের মাত্রাও কম। তাই এখনই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না।’’
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিজেপির জাতীয় সহসভাপতি বৈজয়ন্ত জে পান্ডা বলেছেন যে কোনও রাজনীতিবিদের উপর হামলা নিন্দনীয়। তিনি বলেন, “বাংলায় ১০০ এরও বেশি বিজেপি কর্মকর্তাদের দিনের আলোতে, ক্যামেরার সামনেই নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। সমাবেশ করার সময় আমাদের নেতাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। যদিও মমতাজির এই ঘটনা নিয়ে আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি।"