দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। আহত বহু। বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকায় পুরো ধ্বংসস্তূপের চেহারা নিয়েছে। আশপাশের মোট ৩টি পাকা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
রাজ্যে এভাবে একের পর এক বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে চলেছে। প্রশাসনের উদাসীনতাতেই লোকালয়ের মাঝে বেআইনি বাজি কারখানাগুলি চলছে বলে দাবি বিরোধীদের।
বাজি কারখানায় একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনা। চলুন ফিরে দেখা যাক...
বজবজ
মাত্র এক সপ্তাহ আগেই, ২০ অগাস্ট, ২০২৩-এ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় ৩ জনের। সিআইডির একটি টিম সেখানে তদন্তে আসে।
এগরা
এর আগে, চলতি বছর ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় খাদিকুল গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়। মৃত্যু হয় বাজি কারখানার ১২ জন কর্মীদের। ঘটনার পর রাজ্যের সকল বাজি তৈরির কারখানায় তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছিল প্রশাসন। প্রাথমিকভাবে তা হয়েছিলও। কিন্তু বাস্তবে তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি বলেই দাবি সমালোচকদের। আর সেই কারণেই, এগরার ঘটনার সাড়ে ৩ মাস পরে ফের এহেন ঘটনা। জনবহুল লোকালয়ের মাঝেই জোরকদমে চলছিল বাজি তৈরির কাজ।
এগরার ঘটনার পর ক্ষমা চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনার ১১দিন পর সেখানে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই ঘটনায় চোখ খুলে গিয়েছে প্রশাসনের। এরপর এই ধরণের বেআইনি বাজি কারখানাগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন তিনি
মহেশতলা
বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে প্রাণ হারান ৩ জন। ২০ মার্চ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে। পুলিশ সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে জনবসতিপূর্ণ ওই এলাকা। বাজি কারখানার মালিকের স্ত্রী, তাঁর ২২ বছরের ছেলে এবং এক নাবালিকার মৃত্যু হয়।
পিংলা
২০১৫ সালের ঘটনা। পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার ব্রাহ্মণবাড় গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে। কারখানার মালিক রামপদ মাইতি ও তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৩ জনের মৃত্যু হয়। চাঞ্চল্যকর বিষয়টি হল, এর মধ্যে ১০ জন নাবালক শ্রমিক ছিল। ঘটনায় তদন্তে নামে CID। মোট ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।