উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টির কারণে উদ্বিগ্ন রাজ্য সরকার। ডিভিসি থেকে জল ছাড়ার ফলে বন্যার আশঙ্কা বাড়ছে। সেইসঙ্গে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম-সহ অনেক জেলায় অবিরাম বৃষ্টির কারণে পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে।
শনিবার বিকেলে নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করলেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূমে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে এবং ডিভিসিও রাজ্য সরকারকে না জানিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টা ধরে প্রচুর জল ছাড়ছে। আগামী ৫-৬ তারিখে ভরা কোটাল রয়েছে। বিশেষ করে হাওড়া, হুগলি, উদয়নারায়ণপুর, গোঘাট, আমতা প্রভৃতি অঞ্চলকে ডিভিসির জল ছাড়ার সঙ্গে এই ভরা কোটাল প্লাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই রাজ্য সরকার সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করছে।'
এদিকে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের প্রভাবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। বিহারে অত্যন্ত গভীর নিম্নচাপের প্রভাব বাংলাতেও পড়েছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে এদিন দক্ষিণবঙ্গের চারটি জেলায়—উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী চার দিনে উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে এবং ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে।
ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টির কারণে ডিভিসি জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়িয়েছে। সকাল থেকে ৪৮ হাজার কিউসেক হারে জল ছাড়ছে তারা। দুর্গাপুর জলাধারও জল ছাড়তে শুরু করেছে, ফলে হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমানের নিচু এলাকায় জলপ্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বীরভূমের কঙ্কালিতলার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক, যেখানে নদীগুলির জল দ্রুত বাড়ছে।