পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের বাংলো ক্রোক করার নির্দেশ দিল আদালত। শুধু তাই নয়, ক্রোকের পর বাংলোটি নিলামে তোলা হবে। জমি মামলায় এমনই নির্দেশ আদালতের।
ঠিক কী ঘটেছে?
বর্ধমান শহরের সাধনপুর এলাকায় ওই বাংলো। জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য ২০০৩ সালে কিছু জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। পশ্চিম বর্ধমানের কাঠপুকুর মৌজায় সুশান্ত গোস্বামী নামে এক ব্যক্তির ০.৪১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। সুশান্ত কলকাতার সরপশুনা থানার হো চি মিন সরণির বাসিন্দা। সেই সময় জমির দাম ঠিক হয় ২৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৪০ টাকা। সেই টাকা সরকার মেটায়নি বলে অভিযোগ। শেষে ২০১৩ সালে টাকা পেতে ২০১৩ সালে মামলা করেন ওই ব্যক্তি। সেই সময় জমির মূল্য বাবদ ৫৪ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা মেটাতে সরকারকে নির্দেশ দেয় আদালত। অভিযোগ, আদালতের নির্দেশের পরও সরকার জমির মূল্য বাবদ প্রাপ্য টাকা ফেরায়নি। এরপর ২০১৫ সালে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জমি মালিক। সেই থেকে মামলাটি বর্ধমানের তৃতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে চলছিল।
গত ১২ এপ্রিল আদালত জমির মূল্য বাবদ মালিককে ১ কোটি ৯৯ লক্ষ ৭০ হাজার ৭৯০ টাকা ১৭ মে'র মধ্যে মেটাতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশও মানেনি সরকার। শুক্রবার শুনানিতে সরকারের তরফে ১২ এপ্রিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করার জন্য আরও ২ মাস সময় চাওয়া হয়। দু'পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর সরকারের আবেদন খারিজ করেছে আদালত। সেই সঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ৩.০৪ একর জমির উপর তৈরি জেলাশাসকের বাংলো ক্রোক করতে হবে। বর্ধমান শহরের সাধনপুর এলাকায় বাগান, ফাঁকা জমি, ভবন-সহ গোটা এলাকা বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ কার্যকর করার জন্য জেলা আদালতের নাজিরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ক্রোকের পর বাংলোটি নিলামে বিক্রি করতে বাজারদরও জানতে বলা হয়েছে।