বাংলার ৭টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের (By Election In West Bengal) প্রস্তুতি শুরু। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে সমস্ত আসনের নির্বাচনী কর্মকর্তাদের ভোটার তালিকা আপডেট করার নির্দেশ দিয়েছে। একইসঙ্গে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট প্রস্তুত রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত রাজ্যের উপনির্বাচনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, পদে থাকতে হলে নভেম্বরের মধ্যে জয়ী হয়ে আসতেই হবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
গত ২ মে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। নন্দীগ্রামে পরাজতি হলেও ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিময় অনুযায়ী আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে জিতে বিধায়ক হতে হবে তাঁকে। নয়ত পদে থাকতে পারবেন না তিনি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন সূত্র খবর, সাংবিধানিক সঙ্কট এড়াতে উত্তরাখন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গে উপনির্বাচন আয়োজনের চেষ্টা চালান হচ্ছিল। কিন্তু তার মাঝেই উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী তিরথ সিং রাওয়াতকে সরিয়ে সেখানে পুষ্কর সিংস ধামিকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি।
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) উপনির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেওয়ায় কমিশন সেপ্টেম্বরে ভোট ঘোষণা করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আপাতত কোচবিহার, দক্ষিণ কলকাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, এবং নদিয়া জেলার নির্বাচনী কর্মকর্তাদের উপনির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় ইভিএম ও ভিভিপ্যাটগুলি পরীক্ষা করে প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নন্দীগ্রামে (Nandigram) পরাজয়ের পর নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানীপুর থেকেই নির্বাচনে লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভা ভোটের সেই কেন্দ্রে লড়াই করেছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া এই মুহূর্তে খালি রয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা আসনও। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরেও হবে উপনির্বাচন। পাশাপাশি উপনির্বাচন হবে কোচবিহারের দিনহাটা ও নদিয়ার শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রেও।