SSC Teacher Job Update: ১৩ ডিসেম্বর যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কোর্ট সন্তুষ্ট না হওয়ায় ফের ১৮ ডিসেম্বর ফের দেওয়া হয়েছিল হলফনামা। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার।
তিনি বলেন, 'একাদশ-দ্বাদশের ক্ষেত্রে ৩৯ জন, তাদের নাম-রোল নম্বর সহ তালিকা দেওয়া হয়। ওই একই দিনে আমরা গ্রুপ সি oMR ইস্যু ছিল ৭৮৩ জনের। আমরা যাদের সুপারিশ পত্র দিয়েছি। তাদের বিবরণ আমরা দিই।'
তিনি আরও বলেন, 'এছাড়াও আপনারা জানেনে যে গ্রুপ সি এবং ডি-এর ক্ষেত্রে আমি এই চেয়ারে বসার আগে দু'টো বিপরীত ধর্মী হলফনামা গিয়েছিল। SSC-র পক্ষ থেকে যে সুপারিশ পত্র যায়নি, রিজিওনাল কমিশনের রেকর্ড অনুসারে। বোর্ড বলেছে রেকমেন্ডেশন পেয়েই তাঁরা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দিয়েছেন।'
এই বিপরীতধর্মী হলফনামার ভিত্তিতেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানান এসসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, 'জাস্টিস গঙ্গোপাধ্যায় যখন প্রথম তদন্তের নির্দেশ দেন, তা এই বিপরীতধর্মী হলফনামার ভিত্তিতে দেন। এই যে OMR ইস্যু আছে, আমরা বলছি সুপারিশ যায়নি অথচ অ্যাপয়েন্টেড তারা হয়েছেন, এমন ৫৭ জন ছিলেন। এই ৫৭ জনের যেহেতু পরবর্তীকালে মামলার প্রেক্ষিতে এই তথ্যগুলি আমাদের কাছে অনেকটাই এসেছিল, এই ৫৭ জনেরও নাম আমরা দিয়ে দিই। এটা গ্রুপ সি-র OMR ইস্যু।'
তিনি আরও জানান, 'গ্রুপ ডি-এর ক্ষেত্রে অনুরূপভাবে ১,৭৪১ OMR ইস্য়ু যাদের সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছে। এবং ১৭০ জন অ্যালেজেডলি সুপারিশপত্র দেওয়া হয়নি, কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, মোট ১,৯১১ জন। এই তালিকাটা আমরা দিই। ১,৭৪১ এবং ১৭০ গ্রুপ ডি-তে।'
আদালতের সরাসরি বাতিলের কারণ কী? তিনি বলেন, 'এই প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই কিন্তু অ্যাপয়েন্টমেন্ট সরাসরি মহামান্য আদালত বাতিল করে দিয়েছিলেন। গ্রুপ সি-এর ক্ষেত্রে ১০ মার্চ ২০২৩ এবং গ্রুপ ডি-এর ক্ষেত্রে ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩। আদালত সরাসরি বাতিল করে দিয়েছিলেন। কারণ গ্রুপ সি-ডি-এর ক্ষেত্রে আমাদের রুল ১৭-এর কোনও সমগোত্রীয় রুল নেই। অর্থাৎ আমরা সুপারিশ পত্র বাতিল করতে পারি, এমন কোনও সমগোত্রীয় নিয়ম নেই বলে আদালত সেটা বাতিল করেন। আমাদের ওয়েবসাইটে এদের বিস্তারিত বিবরণ আপলোড করা হয়েছিল।'