ব্রিগেডের 'জনগর্জন' সভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল তৃণমূল। আর সেই প্রার্থী তালিকায় একের পর এক চমক। বহরমপুরে প্রাক্তন ক্রিকেট তারকাকে প্রার্থী করে চমক দিল রাজ্যের শাসকদল। বহরমপুরে প্রার্থী হচ্ছেন ইউসুফ পাঠান। গুজরাটের বাসিন্দা ইউসুফ পাঠান। দীর্ঘদিন ভারতীয় জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। একসময় আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতেন তিনি। তাঁর ভাই ইরফান পাঠানও জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন তারকা। তাঁকে বহরমপুরে প্রার্থী করার পর থেকেই চর্চা শুরু হয়েছে।
বহরমপুর কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিপরীতে তৃণমূল প্রার্থী করেছে প্রাক্তন ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। তা নিয়ে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, 'ইউসুফকে দিয়ে সমাজের কি লাভ হবে? উনি যদি বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদ হতেন, রাজনীতি করতেন বা খেলাধুলা করতেন তাহলে বুঝতাম যে চমক রয়েছে। উনি ছক্কা বা চার নিয়ে ভালো বুঝবেন। উনি দায়িত্ব নিয়ে ২০০৭-এ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন করেছেন। কিন্তু তার কোন রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি?'
রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের রবীন্দ্রভবনে আইএসএফের কর্মী সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই মন্তব্য করেন নওশাদ। আইএসএফের প্রার্থী তালিকায় কোন চমক থাকছে কিনা তা নিয়ে নাওসাদ বলেন 'আমরা জনগণের প্রতিনিধি চাই। সেলিব্রেটি, খেলোয়ার যাদের মাঠের সঙ্গে কোন যোগ নেই তাদেরকে প্রার্থী করব আর তারা জিতে টিকটক করবে তাদেরকে প্রার্থী করব না।'
নওশাদ আরও বলেন, 'বহিরাগতদের নিয়ে তৃণমূল লোকসভার প্রার্থী করার প্রসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বলেছিলেন বাংলার মানুষ বাংলার মেয়েকে চায়। আর তৃণমূল বাংলার ছেলেকে চাই না। এটা বোঝা গেল। এখানকার ছেলেরা সব বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক হবে অন্য রাজ্যে গিয়ে। আর বিজেপির কাছ থেকে নিয়ে এখানে এম পি করবেন।'
বহরমপুর লোকসভা প্রার্থী ইউসুফ পাঠান ঘোষণা হওয়ার পর অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, 'ইউসুফ পাঠানকে যথাযথভাবে সম্মান জানানো হলে ভালো হতো। বাইরের লোকেদের রাজ্যসভায় সাংসদ করা হয়েছে। যদি ইউসুফ পাঠানকে পাঠিয়ে সম্মান জানানো উচিত ছিল।'