সুন্দরবনে মৎস্যজীবীকে টেনে নিয়ে গেল বাঘ। কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলার মুখে পড়েন ওই মৎস্যজীবী। বন দফতরের অনেক খোঁজাখুজিতেও হদিশ মেলেনি তাঁর। ঘটনার পরেই ভেঙে পড়েছে ওই মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা।
কীভাবে এই ঘটনা
নিখোঁজ মৎস্যজীবীর নাম বাদল বৈরাগী। গোসাবার বালি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজয়নগর গ্রাম থেকে দিন তিনেক আগে দুই সঙ্গীর সাথে বাদল গিয়েছিলেন সুন্দরবনের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরতে। সেখানে আজ সকালে যখন তাঁরা পীরখালির জঙ্গলে কাঁকড়া ধরার জন্য নদীর চরে নেমেছিলেন, তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। একটি বাঘ আচমকা জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে হামলা চালায় বাদলের উপরে। তাঁকে ধরে মুহূর্তে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পরে বাঘটি। সঙ্গীরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই বাদলকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে চলে যায় বাঘ। পরে ওই সঙ্গীরা ফিরে এসে বিষয়টি বনদফতরকে খবর দেয়। এর পরেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও উদ্ধার করতে পারেননি বাদলকে। ঘটনার খবর এলাকায় এসে পৌঁছতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাদলের পরিবার। ঠিক কিভাবে ঘটনাটি ঘটল সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে বন দফতর। এঁদের জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া ধরার অনুমতি ছিল কিনা সে বিষয়টি ও খতিয়ে দেখছে বন দফতর।
আরও পড়ুন, এবার সুন্দরবনের বাঘের গতিবিধিতে নজর রাখবে ক্যামেরা, চলছে তোড়জোর
এর আগেও একাধিকবার হামলা
সুন্দরবনে বাঘে-মানুষের লড়াই এই প্রথম নয়। চলতি বছরে একাধিকবার বাঘের হামলার মুখে পড়েছেন মৎস্যজীবী ও সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দারা। এ বছর জুলাই মাসেই এক মৎস্যজীবীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়েছিল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সেই সময় তিনিও কাঁকড়া ধরতে গিয়েছিলেন জঙ্গলে। আগস্ট মাসেও বাঘের হামলায় প্রাণ যায় এক মৎস্যজীবীর। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে বাঘ গণনার নির্ধানের কাজ প্রতিবছরের মতো এবারও শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে জঙ্গলের বিরাট এলাকা জুড়ে ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু করে দিয়েছেন বনকর্মীরা। প্রথম ধাপে, ৫ই ডিসেম্বর থেকে ১১ই ডিসেম্বর পর্যন্ত সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় এবং দ্বিতীয় ধাপে ১১ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৪ পরগনা বনবিভাগ এলাকায় ক্যামেরা বসানোর কাজ চলবে।