কাটোয়া ও কালনায় কুমির দেখা যাওয়ার পর থেকেই আশঙ্কায় বাসিন্দারা। এমনকি, মাত্র কয়েকদিন আগেই কালনায় বিভিন্ন এলাকায় হাজির হয়েছিল কুমির। দেখে রীতিমতো পিলে চমকে উঠেছিল অনেকেরই। কালনায় সেই কুমির আতঙ্ক এখনও তরতাজা। কিন্তু তর্পণ করতে গেলে যে স্থানীয়দের গঙ্গায় (ভাগীরথীতে) নামতেই হবে৷ তাই কুমির আতঙ্ক কাটানোর জন্য নদীতে বোমা ফাটালেন বন কর্মীরা। সমস্ত ঘাটে বোমা ফাটানোর সঙ্গে মাইকে প্রচার চালানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেছিলেন, ভাগীরথী নদী থেকেই কুমিরটি ডাঙায় উঠে আসতে পারে। সেই ভাগীরথীর ধারে আজ আবার মহালয়ার দিনে তর্পণ করতে জড়ো হন শয়ে শয়ে মানুষ। তাই সকালে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হয় প্রশাসনকে৷ রীতিমতো বোমা ফাটিয়ে চলল কুমির তাড়ানোর চেষ্টা৷ লঞ্চে করেও টহল দেয় পুলিশ এবং বনকর্মীরা।
জলের কুমিরকে ঘাটের কাছ থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে গত দু'দিন ধরেই জল-বোমা ফাটানো হচ্ছিল৷ এদিন সকালেও একইভাবে ফের বোমা ফাটিয়ে কুমির তাড়ানোর চেষ্টা হয়৷ লঞ্চে করেও চলে টানা নজরদারি৷