scorecardresearch
 

"রয়েছে শুভেন্দুর আশীর্বাদ", তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন সিরাজ

তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিল বিজেপি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান যোগ দিলেন বিজেপিতে। নতুন দলে যোগ দিয়ে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর আশার্বাদ পেয়েছেন তিনি। এই মন্তব্যে নতুন সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার উর্বর জমিকে নষ্ট করছে। 

Advertisement
বিজেপি যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান বিজেপি যোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান
হাইলাইটস
  • শুভেন্দু অধিকারীর আশার্বাদ পেয়েছি
  • পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান
  • তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে

তৃণমূলকে বড় ধাক্কা দিল বিজেপি। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান যোগ দিলেন বিজেপিতে। নতুন দলে যোগ দিয়ে তিনি জানান, শুভেন্দু অধিকারীর আশার্বাদ পেয়েছেন তিনি। এই মন্তব্যে নতুন সম্ভাবনা উসকে দিয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযোগ করেছেন, রাজ্য সরকার উর্বর জমিকে নষ্ট করছে। 

এদিন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং লকেট চ্য়াটার্জির উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে নাম লেখান। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। কৈলাস ফের ভাইপো প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, যদি কাউকে ধরে জিজ্ঞাসা করেন যে পশ্চিমবঙ্গে কয়লা চোর কে? বলবে ভাইপো। যদি জিজ্ঞাসা করেন প্রশাসনিক পদে বদলি করেন কে? বলবে ভাইপো। এই ভাইপোটি কে, তা সবাই জানেন। মমতা বন্দোপাধ্যের চরিত্র সবার কাছে পরিষ্কার। তিনি ১০ বছর ধরে বাংলা ধ্বংস করছেন। এখন লোকের তাঁকে ছেড়ে চলে যাবে। তিনি সিন্ডিকেট, মাফিয়া ও কয়লা-মাফিয়াদের নিয়ে রাজ্য পরিচালনা করছেন

পরে সিরাজ খান বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী আমার ঘনিষ্ঠ ঠিক তা না। কাজ করার সময় উনি আমার নেতৃত্ব। ওঁকে মানতে হবে। আমি শিশিরবাবু-কেও মানি । একটা কাজের জায়গা খুজছিলাম । আমি একজন মৎসজীবী। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে সেখান থেকে কেন আমি হঠাৎ করে বিজেপি দলে এলাম? কাজ করবো বলে। রাজ্য জুড়ে অকৃষি জমিতে মাছ চাষ হবে । উর্বর কৃষিজমি নষ্ট করছে রাজ্য সরকার। সংখ্যালঘু ভাইদের টুপি পরাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "শুভেন্দু অধিকারী আমাদের নেতৃত্ব ছিলেন, ফোনে এসএমএস করেছি, আশীর্বাদ দেবেন। নিরাপত্তা কর্মী তুলে নিলে নেবে। ভাল ভাবে কাজ করলে মানুষ নিরাপত্তা দেবে। আমার দফতরে কাজ খারাপ হচ্ছিল। ছদ্মবেশে ধরিয়ে দিয়েছি। তারপরেও কোনও কাজ হয়নি।

শুভেন্দুর 'ক্ষোভ কমাতে' তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁদের মধ্য়ে দীর্ঘক্ষণ কথা হয়। সোমবার কলকাতায় তাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি বলেই খবর। শুভেন্দুর অবস্থান নিয়ে বিপাকে পড়েছে দল। তাঁর কথা বিভিন্ন মন্তব্যে নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। সেইসঙ্গে তাঁর ছবিওয়ালা পোস্টারও সমস্য়া বাড়িযেছে শাসকদলের।

Advertisement

Advertisement