দুর্গাপুজো এলেই এপার বাংলায় ইলিশের চাহিদা চরমে পৌঁছায়। আর সেই চাহিদা মেটাতে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আমদানি করা হয়। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর একটি অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এই প্রেক্ষাপটে, পুজোর সময় ইলিশ মাছ রফতানির ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের কাছে আবেদন জানাল হাওড়ার ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন।
ফিশ ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন ওই চিঠিতে জানিয়েছে, ১৯৯৬ সাল থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৫,০০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানি করা হত। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ সরকার ইলিশ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এরপর বহুবার নিষেধাজ্ঞা শিথিলের আবেদন করা হলেও কোনও সাড়া মেলেনি। তবে, গত পাঁচ বছর ধরে দুর্গাপুজো উপলক্ষে ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মকসুদ বলেন, 'গত পাঁচ বছর ধরে দুর্গাপুজোর সময় ইলিশ আমদানি করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ত্রিপুরায় বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা রয়েছে। এবছরও আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে ইলিশ রফতানির অনুমতির জন্য আবেদন জানিয়েছি।'
এদিকে, সূত্রের খবর বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, দেশের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে তবেই ইলিশ বিদেশে রফতানি করা হবে। এই অনিশ্চয়তার মধ্যেই ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন তাদের চিঠিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে উল্লেখ করেছে, "বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনে আমরা খুশি এবং দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার প্রত্যাশা করছি। এই প্রেক্ষাপটে, আমরা অনুরোধ করছি যে দুর্গাপুজোর সময় বাংলাদেশের ইলিশ রফতানির অনুমতি দেওয়া হোক, কারণ এপার বাংলার মানুষের কাছে বাংলাদেশের ইলিশের বিশেষ চাহিদা রয়েছে।"
তবে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার কোনও সিদ্ধান্ত জানায়নি, ফলে এবছর দুর্গাপুজোতে ইলিশ রফতানির ব্যাপারে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে।