ঘূর্ণিঝড় ইয়াস (Cyclone Yaas) ও বৃষ্টির জেরে ব্যাপত ক্ষতি হয়েছে চাষের। সেই প্রভাব দেখা গেল হুগলিতেও (Hooghly)। জেলার ধনেখালি (Dhaniakhali) ব্লকের রাধাবল্লভপুর গ্রামের প্রায় ৫০০ বিঘা জমি জলমগ্ন। যার জেরে রীতমতো ক্ষতির সম্মুখিন চাষিরা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বেশিরভাগই ঋণ নিয়ে চাষ করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ঋণের টাকা কীভাবে শোধ করবেন তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়েছে কৃষকদের।
গত বুধবারই স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ওডিশার পাশাপাশি এরাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বিশেষ ভাবে তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য জেলাতেও। তার জেরেই জলের তলায় হুগলির ধনেখালির প্রায় ৫০০ বিঘা কৃষিজমি। জলমগ্ন তিল, বাদাম, বেগুন সহ বিভিন্ন সবজি। যার জেরে রীতিমতো মাথায় হাত কৃষকদের। কারণ কৃষকদের অনেকেই ঋণ নিয়ে জমিতে চায় করেছিলেন। ফলে সেই ঋণের টাকা শোধ করা নিয়েই দুশ্চিন্তার ভাঁজ তাঁদের কপালে।
জানা যাচ্ছে, ইয়াসের ল্যান্ডফলের আগে থেকেই অবশ্য হুগলি জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ল্যান্ডফলের পর শুরু হয় ব্যাপক বৃষ্টিপাত। যার জেরে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। তবে ইয়াসের জেরে তৈলশষ্য ও সবজি চাষের যে ক্ষতি হতে পারে এমনটা আগেই আশঙ্কা করেছিল জেলা কৃষি দফতর। আর বাস্তবেও দেখা গেল তেমনটাই চিত্র।
প্রসঙ্গত ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ শুক্রবারই রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসারও কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। বৈঠকের পরে পূর্ব মেদিনীপুরের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি ঘুরে দেখতে পারেন নরেন্দ্র মোদী। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এদিন দিঘায় যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীও। রাতেই প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান খতিয়ে দেখতে পারেন তিনি। এরপর শনিবার সকালে দিঘার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করে দেখতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।