প্রকাশ্যে রীতিমতো ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ। থানা-পুলিশ পর্যন্ত! তৃণমূলের বিধায়ক ও যুবনেত্রীর প্রকাশ্য কোন্দলে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছিল দল। তবে দ্রুত তার সুরাহার ব্যবস্থাও করল শীর্ষ নেতৃত্ব। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুখোমুখি বসানো হল তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী এবং দলের যুবনেত্রী রুনা খাতুনকে। বৈঠক শেষে ছবিও তোলা হল। হুগলির জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, একই পরিবারে থাকলে এরকম ছোটখাটো সমস্যা হতেই পারে। বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে সেই সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া হয়েছে। বৈঠকের পর দৃশ্যতই হাসিমুখে ছবি তোলেন বিধায়ক-যুবনেত্রী।
একদিকে বলাগড়ের বিধায়ক। অন্যদিকে হুগলি জেলা পরিষদের সদস্য। এদিন দু'জনের বিবাদ মেটাতে জেলা সভাপতি অসীমা পাত্র উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, তৃণমূল পরিবার বড় হয়েছে তাই ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এটিকে 'ছেলেমানুষী ঝগড়া' হিসাবে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, মান-অভিমান মিটিয়ে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিতর্কের সূত্রপাত এক পোস্ট থেকে। বলাগড় ব্লক জুড়ে গঙ্গা থেকে বেআইনি ভাবে বালি ও মাটি তোলার অভিযোগ আনেন মনোরঞ্জন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লকের এক নেতাকে 'বালি ও মাটির মাফিয়া' বলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, খামারগাছি ঘাটে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানো গাড়ি নিয়ে হুমকি দিয়ে টাকা তুলছেন এক নেতা। ওই নেতাকে 'ফুলন দেবীর স্বামী' বলেন তিনি। ফুলন দেবী বলতে এই রুনা খাতুনকেই বুঝিয়েছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। রুনার স্কুলে চাকরি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রুনার নামে পোস্ট করলেও পরে তা ডিলিট করে দেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। এদিকে এই নিয়ে পাল্টা প্রতিবাদ করেন রুনা।
এদিকে এই কোন্দলের মধ্যেই হত ৪ জানুয়ারি মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অফিসে ভাঙচুর হয়। দলীও কোন্দল চরমে ওঠে। এমনই পরিস্থিতিতে দু'জনের মানভঞ্জনে নামে দলীয় নেতৃত্ব।