রাজ্যের মুসলিম মহিলাদের কি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প খাতে মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া যাবে? শুক্রবার বিধানসভায় এই প্রশ্ন তুললেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হুমায়ুন কবীর (Humayun Kabir)। এদিন প্রশ্নোত্তর পর্বে হুমায়ুন বলেন, তফসিলি জাতি ও উপজাতি মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী সংখ্যালঘু মুসলমান মহিলাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে কি মাসে ১ হাজার টাকা দেওয়া সম্ভব?
প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন প্রতীচী ট্রাস্টের একটি রিপোর্ট তুলে ধরে হুমায়ুন বলেন, ‘‘মুসলমান মহিলাদের অবস্থা আর্থিক ভাবে ভাল না। আমরা যখন পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারে গিয়েছিলাম, তখন ওই ধরনের (মুসলমান) মহিলারা বলছিলেন, আমরা তো ভোট দিই। আমরা ৫০০ টাকা পাচ্ছি, ওরা (তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মহিলারা) ১০০০ টাকা পাচ্ছে।’’
বিধানসভায় তাঁর সেই প্রশ্নের জবাব দেন রাজ্যের শিল্প বাণিজ্য তথা নারী, শিশু ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। জবাবে মন্ত্রী শশী বলেন, “ধর্মীয় ভাবে এটা করা হয় না। এটা প্রান্তিক মানুষদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী শুরু করেছেন। এই মুহূর্তে লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তার সংখ্যা ১ কোটি ৯৮ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৩ জন।” জবাবে হুমায়ুন আবার বলেন, “আমি বুঝেছি এটা ধর্মীয় ভাবে হয় না। অন্তত ওবিসি মুসলমান মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হোক।”
এরপরেও হুমায়ুন কবীর বলেন, “আমি বুঝেছি এটা ধর্মীয়ভাবে হয় না। অন্তত অন্যান্য অনগ্রসর মুসলমান মহিলাদের মাসে ১ হাজার টাকা করে দেওয়া হোক।”
সূত্রের খবর, বিষয়টিতে অস্বস্তিতে শাসকদল। কারণ হুমায়ুনের প্রশ্নের পর থেকেই বিজেপি তরফে অভিযোগ, সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করছে শাসকদল। হুমায়ুন কবীরের দাবি যদি না মানা হয়, তাঁর ইস্তফা দেওয়া উচিত। যদিও দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনও সরকারি প্রকল্প ধর্মের ভিত্তিতে করা যায় না। আইপিএস অফিসার হুমায়ুন বিলক্ষণ তা জেনে থাকবেন। তা সত্ত্বেও বিধানসভায় ওই প্রশ্ন করে তিনি দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।