তৃণমূল ছাড়ছেন না হুমায়ুন কবীর। কয়েকদিন আগেই নিজের দল তৈরির ভাবনা শোনা যাচ্ছিল ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়কের মুখে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করার অভিযোগে তাঁকে শোকজ় নোটিস করা হয়েছিল বলে অভিযোগ তোলেন হুমায়ুন। এর প্রেক্ষিতেই হুমায়ুনের দল ছাড়ার গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু শুক্রবার দল ছাড়ছেন না বলে জানিয়ে দিলেন তিনি।
এদিন হুমায়ুন বলেন, 'আমাদের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার কোনও সংঘাত ছিল না। যে সমস্যাটা হয়েছিল টিকিট বন্টন নিয়ে, যে বিধানসভার আমি সদস্য, ৪৩,৩৮৩ ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়ে আমি নির্বাচিত হয়েছিলাম। সেখানে ২০২১ সালে নির্বাচনে যারা আমাদের দলীয় প্রতীকে, দিদির মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমাদের হয়ে যারা ভোট করেছিল, তাদের বাদ দিয়ে যেভালে টিকিট বন্টন করা হয়েছিল, তাই নিয়ে আমার সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের সংঘাত হয়েছিল।'
আপনি তাহলে তৃণমূল ছেড়ে নতুন দল করছেন না? 'প্রশ্নই আসে না,' সটান জবাব দিলেন হুমায়ুন কবীর। ২০১৫ সালে তৎকালীন মহাসচিব আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে আমাকে বরখাস্ত করে দেন।
তিনি বলেন, 'আমি হাতে পাওয়ার আগেই দেখছি একটি নোটিস ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাননীয় রাজ্য সভাপতির সই ছাড়াই ২৫-২৬ তারিখ বহরমপুরে ঘুরছিল। তাই তখন আমার মনে হয়েছিল, ২০১৫ সালের পুনরাবৃত্তি আবার হতে চলেছে নাকি!' তিনি আরও বলেন, 'একইভাবে ২০১৫ সালে ৭ দিন আগে থেকেই জেলার নেতারা বলছিলেন। আমাকে নোটিশ ছাড়াই ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছিল।'
শুধু তাই নয়। আগামীকাল তৃণমূল ভবনের বৈঠকেও যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। সুব্রত বক্সীর আহ্বানে জেলা নেতৃত্ব সেই মিটিংয়ে যোগ দেবেন। সংগঠন সুষ্ঠুভাবে চালনার জন্য এই বৈঠকে আলোচনা করা হতে পারে। ২০২৪-এর নির্বাচনের কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানান তিনি।
হুমায়ুন জানালেন, সুব্রত বক্সীর থেকে গত ২৯ জুলাই হুমায়ুন একটি শো-কজ নোটিশ পান। এরপর ১ অগাস্ট সন্ধ্যায় সুব্রত বক্সীর সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেন। সেই সময়ে তিনি দিল্লিতে ছিলেন। তাই শোকজ লেটারটি রাজ্যে সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের কাছে জমা করি।