সোমবার বিকেল ৪টেয় রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেই মতোই ধর্নামঞ্চ থেকে সেখানে ৩০ জনের প্রতিনিধি দল নিয়ে রওনা দেবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন রওনা দেওয়ার আগে অভিষেক বলেন, 'আমরা ৭ তারিখ, সকালবেলা যেদিন আমাদের তিনজন দলের প্রতিনিধি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র এবং রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, কলকাতা থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে তাঁর সঙ্গে সৌজন্যতার খাতিরে কথা বলতে গেলেন। আমরা সেদিনই তাঁকে একটি মেল করেছিলাম যে, আপনার বাংলার রাজ্যপালের পদকে সম্মান জানিয়ে আমরা তিনজনকে পাঠাচ্ছি। কিন্তু আমাদের মূল নেতৃত্ববৃন্দ কলকাতার রাজভবনের বাইরে আপনার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। আপনি সেখানে এসে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করুন। আমরা তাঁর সুবিধা মতো তারিখ ও সময়ও জানতে চাই।'
এরপরেই অভিষেকের অভিযোগ, 'রাজ্যপাল গতকাল কলকাতায় এসে বিমানবন্দরে বলেন, তাঁর কাছে কোনও তারিখ, সময় চাওয়া হয়নি। কিন্তু এটি তথ্যগতভাবে সঠিক নয়।'
অভিষেক জানান, 'পরবর্তীকালে তাঁর অফিস থেকে যোগাযোগ করা হয়। ঠিক ৯.৫০-এ ফোন করে। আমাদের রাজ্যসভার সংসদ ডেরেক ও ব্রায়ানকে বলা হয়, ১০টায় তোমরা চলে এস। আমরা বলেছি, ৯.৫০-এ ফোন করে আপনারা ১০টায় ডাকছেন? কেউ জলপাইগুড়ি থেকে আসবে, কেউ বনগাঁ থেকে আসবে, কেউ বর্ধমান থেকে আসবে। কেউ নদীয়া থেকে আসবে। এ কোথাকার জমিদারি?'
তিনি বলেন, 'আপনি আগামিকাল সকাল ৭টায়, ৮টায় সময় দিন, আমরা আসব। আবার উনি বিকেল ৪টেয় আমাদের আসতে বলেছেন। আমরা ১৫ মিনিট আগেই যাব। আমরা চেয়েছিলাম এই বৈঠকে যেন সাংবাদিকরা থাকেন। কিন্তু সাংবাদিকরা তো নয়-ই, আমাদের ফোন নিয়েও যেতে দেওয়া হবে না।'
শুধু প্রাপ্য টাকা নয়। বকেয়া সুদেরও দাবি করা হবে। এমনটাই জানালেন অভিষেক। তিনি বলেন, 'আজ আমরা প্রত্যেকে তাঁর কাছে চিঠি জমা দেব। আমাদের দাবি, ২১ লক্ষ ৭৫ হাজার মানুষের পারিশ্রমিক কেন আটকে রাখা হচ্ছে তা জানাতে হবে। তাছাড়া শিডিউল টু-এর সেকশন ২৯ অনুযায়ী, কোনও ক্ষেত্রে টাকা দিতে ১৫ দিনের বেশি হয়ে ১৬ দিন থেকে, সেক্ষেত্রে ০.০৫% অর্থাৎ মাসে দেড় শতাংশ, বছরে ১৮% সুদ কেন্দ্রের সরকারকে দিতে হবে। অর্থাৎ, যাঁর ১০ হাজার টাকার পাওনা, তাঁর আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তাঁর দুই বছরের সুদ সমেত প্রাপ্য পাওনা ১৩ হাজার ৬৫০ টাকা। তার কারণ, ৩,৬৫০ টাকাটা সুদ। সেটাও আমরা আদায় করব।'
তিনি বলেন, 'আমাদের ৩০ জন প্রতিনিধি দল। তার মধ্যে ৭ জন ভুক্তভোগীর প্রতিনিধি আছেন। আমরা রাজভবনে গিয়ে দেখা করব।'