scorecardresearch
 

Kajal Sheikh: 'বহিরাগতদের কোথায় পাঠাতে হবে জানিয়ে দেব,' কেষ্টর সুরেই হুঁশিয়ারি কাজলের

কেষ্টর কথা কাজলের গলায়। একসময়ে মনে করা হত, অনুব্রত মণ্ডলের দাপটেই যেন বীরভূমে কিছুটা ব্যাকফুটে কাজল শেখ।  নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের সঙ্গে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর ঠাণ্ডা লড়াই বলে দাবি করা হত। কিন্তু সেই কাজল শেখের গলাতেই অনুব্রতর 'বাণী'। একেবারে তাঁর সুরেই বীরভূমে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের কড়া বার্তা দিলেন কাজল শেখ। 

Advertisement
কাজলের গলায়, কেষ্টর সুর কাজলের গলায়, কেষ্টর সুর
হাইলাইটস
  • কাজল শেখের গলাতেই অনুব্রতর 'বাণী'। একেবারে তাঁর সুরেই বীরভূমে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের কড়া বার্তা দিলেন কাজল শেখ। 
  • মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের(INTTUC) বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন কাজল শেখ।
  • মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের(INTTUC) বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন কাজল শেখ।

Kajal Sheikh TMC: কেষ্টর কথা কাজলের গলায়। একসময়ে মনে করা হত, অনুব্রত মণ্ডলের দাপটেই যেন বীরভূমে কিছুটা ব্যাকফুটে কাজল শেখ।  নানুরের তৃণমূল নেতা কাজল শেখের সঙ্গে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতর ঠাণ্ডা লড়াই বলে দাবি করা হত। কিন্তু সেই কাজল শেখের গলাতেই অনুব্রতর 'বাণী'। একেবারে তাঁর সুরেই বীরভূমে দাঁড়িয়ে বিরোধীদের কড়া বার্তা দিলেন কাজল শেখ। 

২০২৪-এ লোকসভা নির্বাচন। আর তার জন্য আগাম বার্তা দিলেন কাজল। অনুব্রতর ট্রেডমার্ক ভঙ্গিতে বললেন, 'খেলা হবে, অপেক্ষা করুন।' 

গোরুপাচার কাণ্ডে দিল্লির তিহাড় জেলে অনুব্রত মণ্ডল। কেষ্টহীন বীরভূমে তবে কি এখন মুখ কাজল? এদিনের হুঁশিয়ারির পর জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন

বেড়েছে কাজলের গুরুত্ব
গোরুপাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করে CBI। পরে ED-ও তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে তিহাড় জেলে বন্দি তিনি। 

অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে জেলায় দলের দায়িত্ব বাড়তে থাকে কাজলের। তাঁকে কোর কমিটির সদস্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর তাঁকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি করা হয়। 
 
'বহিরাগতরা এলে কোথায় পাঠাতে হবে জানিয়ে দেব...'
মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের(INTTUC) বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেন কাজল শেখ। আর সেখান থেকেই বিরোধীদের কড়া বার্তা দেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি। বললেন, ভোটের আগে বহিরাগতরা বীরভূমে এলে তাদের কোথায় পাঠাতে হবে সেটা তিনি ঠিক সময়ে দলীয় কর্মীদের জানিয়ে দেবেন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশেই সম্ভবত এমনটা বলেন কাজল। তিনি আরও বলেন, 'ভোটের সময় অন্য রাজ্য থেকে প্রতিবারই আসে। ওরা আসবে।'

শুধু তাই নয়। বিরোধীদের বিরুদ্ধে 'টাকার লোভ' দেখানোরও অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, 'আমাদের আজকের প্রজন্মের তরুণ ভাইদের টাকার লোভ দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করবে। আমাদের মধ্যে ভেদাভেদ তৈরির চেষ্টা করবে। তাই আমি আমার ভাইয়ের বলব তোমরা একজোট হও, সবসময় চোখ খোলা রেখো, ঘুমিয়ে থেকো না। তাঁদের সকলকেই নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে হবে। তবে কোথায় পাঠাতে হবে সেটা এখন বলব না। সময় এলে ঠিক বলে দেব।'

Advertisement

Advertisement