INDIA জোট নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অধীর রঞ্জন চৌধুরীর। 'বাধ্য হয়ে জোট করা হয়েছে,' বললেন বহরমপুরের সাংসদ। অধীরের ব্যাখা, 'বিরোধীরা মনে করেছিল যে তারা একা মোদী ও শাহকে আটকাতে পারবে না। এটা সব বিরোধী দল জানে।'
ঠিক সেই কারণেই জোট গঠন করা হয়েছে বলে দাবি তাঁর। তিনি বলেন, 'এইজন্য সবাই একত্রিত হচ্ছে। এঁদের রুখতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন।' রাজনৈতিক ছক কষেই এই জোট করা হয়েছে বলে মত তাঁর। 'বাধ্য হয়ে এটা করা হয়েছে। এটার প্রয়োজনও ছিল। রাজনীতিতে এসব হয়,' মত অধীরের।
INDIA-র মঞ্চে কংগ্রেস ও তৃণমূল একজোট হয়েছে। তবে রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে এখনই 'দোস্তি' করতে নারাজ অধীর। এর আগেও তিনি ইন্ডিয়া জোটের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তোপ দাগেন অধীর। তিনি বলেন, 'শুধু দিল্লিতে গণতন্ত্রের কথা বলব, আর বাংলায় অস্বীকার করব, এতে ভাল বার্তা যাবে না। রাজ্যে ভোটের পর যে ভয়ঙ্কর বাতাবরণ তৈরি হয়েছে তার দায়িত্ব নিন।' অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ভোটের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে হচ্ছে না। নানা ধরণের বেআইনি কাজ হচ্ছে। পুলিশ আর শাসক দল বিরোধীদের ভয় দেখাচ্ছে। দলবদল করতে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তোলেন তিনি। তৃণমূল ১০০ দিনের কাজের টাকার দাবিতে সুপ্রিম কোটে কেন যাচ্ছে না, সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি।
তবে ইন্ডিয়া জোটের কার্যক্রমে ঠিকই অংশ নিচ্ছেন অধীর। গত মাসে ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা মণিপুর সফরে গিয়েছিলেন। সেই সময়ে প্রতিনিধি হিসাবে কংগ্রেসের তরফে অধীর চৌধুরিও যোগ দিয়েছিলেন।
গত ১৭-১৮ জুলাই বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। তারপর NDA-বিরোধী জোট হিসাবে INDIA(ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স)-র ঘোষণা করা হয়। এর আগে, এনডিএ-বিরোধী জোট ছিল ইউপিএ (ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্স)। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ ক্ষমতায় ছিল।
জাতীয় স্তরে জোট গঠিত হলেও রাজ্যে সেই নিয়ে অস্বস্তিতে কংগ্রেস। বিশেষত পঞ্চায়েত ভোটের পরপরই তৃণমূলের সঙ্গে কীভাবে হাত মিলিয়ে নেবেন, তাই নিয়ে চিন্তায় কংগ্রেস নেতারা।