India Today Conclave East 2022: মঙ্গলবার India Today Conclave East-এর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তাঁর মন্তব্যে উঠে আসে কেন সাংবাদিক ও ফ্যাক্ট চেকার জুবেইরের গ্রেফতারিকে সমর্থন করেন না, নূপুর শর্মার বক্তব্য নিয়ে কী তাঁর মন্তব্য থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে খোঁচা দেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।
নরেন্দ্র মোদী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে বিরোধটা কোথায়?
প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী দু'জনেরই ভিন্ন ব্যক্তিত্ব রয়েছে এবং তা থাকা উচিত। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা ব্যক্তিগত অহংবোধ থাকা উচিত নয়। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর স্তম্ভ ভেঙে পড়েছে।
সরকারকে ভয়ের অনুভূতি জাগানোর জন্য পুলিশ বাহিনী ব্যবহার করছে। যখনই রাজ্যগুলির সমস্যাগুলির কথা আসে, কেন্দ্র তার সীমা অতিক্রম করছে। চমক-ধমক দেখিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা করা হয়।
কিন্তু বিজেপির বক্তব্য চমক-ধমক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করেন, প্রশ্নে তাঁর জবাব, মত প্রকাশের স্বাধীনতা অনুযায়ী, সকলের সমালোচনা করার অধিকার আছে। তবে কেউ যদি অভব্য ভাষায় কথা বলেন তবে তা এড়িয়ে যাওয়া উচিত। অনেকেই আমায় এসে বলেন,আপনাকে এই এই বলা হয়েছে। আমি এসবে কান দিই না।
নূপুর শর্মার পয়গম্বর বিতর্ক প্রসঙ্গে
নূপুর শর্মার পয়গম্বর বিতর্ক প্রসঙ্গে মহুয়া মৈত্র বলেন, তিনি সমালোচনার স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। তবে স্বাধীনতার মধ্যে একটি বিভাজন রেখা রয়েছে, সমালোচনা করার স্বাধীনতা ও হিংসা উস্কে দেওয়ার স্বাধীনতার মধ্যে ফারাক আছে।
আমি কখনওই জুবেইরকে নিয়ে দু'মুখো হইনি, জুবেইর একটি সিনেমার দৃশ্যের ফটো দিয়েছিলেন। যা সত্যিই হৃষিকেশ মুখার্জির সিনেমার দৃশ্য। এতে দোষ কোথায়? এর মধ্যে কোনও হিংসার বিষয় নেই। তাঁর সেই ছবি নিয়ে একটি ফেক ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে দোষী বলা হয়। আপনার কি মনে হয় তিনি নূপুর শর্মার মতো কথা বলেছেন? তাঁর মন্তব্য নিয়ে কি কোনও হিংসা ছড়িয়েছে? নূপুর শর্মার মন্তব্য নিয়ে হয়েছে।