scorecardresearch
 

West Bengal Hospital : রাজ্যের বড় উদ্যোগ, সব হাসপাতালে প্রবীণদের হবে পৃথক ওয়ার্ড

বয়স্কদের সুচিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের উপদেষ্টা এবং প্রবীণ চিকিৎসক ডঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই আর্জি শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

Advertisement
হাইলাইটস
  • করোনা অতিমারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কতটা অসহায় এ শহরের প্রবীণরা।
  • এই রোগে তাঁদের মধ্যেই মৃত্যুর হার ছিল বেশি।

করোনা অতিমারি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে কতটা অসহায় এ শহরের প্রবীণরা। এই রোগে তাঁদের মধ্যেই মৃত্যুর হার ছিল বেশি। কোথাও অক্সিজেনের অভাবে, কোথাও কার্যত বিনা চিকিৎসায় পড়ে থেকেই একের পর এক প্রবীণের মৃত্যুর খবর এসেছে। যত দিন যাচ্ছে প্রবীণদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজ্যে। এই মানুষগুলি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের চিকিৎসার কী হবে? কে তাঁদের হাসপাতালে পৌঁছে দেবে? নিম্নবিত্ত প্রবীণদের চিকিৎসার খরচই বা কে দেবে? হাসপাতালে অত ভিড়ের মধ্যে তাঁরা দ্রুত চিকিৎসা পাবেন কীভাবে?

বয়স্কদের সুচিকিৎসার পরিকাঠামো তৈরি করতে সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যদপ্তরের উপদেষ্টা এবং প্রবীণ চিকিৎসক ডঃ সুকুমার মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, এই আর্জি শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী  বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সম্প্রতি সেই কমিটির একটি বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার সুবিধার জন্য পৃথক জেরিয়াট্রিক বিভাগ এবং ওয়ার্ড তৈরি হবে। তিনটি পর্যায়ে বাস্তবায়িত হবে এই প্রকল্প। প্রথম পর্যায়ে মেডিকেল কলেজগুলি এবং জেলা মিলিয়ে ছ’টি হাসপাতালে বয়স্কদের চিকিৎসার বিশেষ ইউনিট তৈরি করবে সরকার। ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা বাড়ানো হবে। একেবারে গ্রামীণ এলাকা পর্যন্ত  ছড়িয়ে দেওয়া হবে এই পরিষেবা।

এই প্রকল্পের কাজে যুক্ত করা হবে আশাকর্মীদের। ১০২টি অ্যাম্বুলেন্স এই পরিষেবার কাজে নিযুক্ত থাকবে। বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া এবং হাসপাতাল থেকে বাড়িতে ছেড়ে দেওয়ার মতো সমস্ত পরিষেবা দেবে রাজ্য। অসুস্থের কোনও সঙ্গী না থাকলে আশাকর্মীরা তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাবেন। 

এ বিষয়ে  মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গঠিত ওই উচ্চ পর্যায়ের কমিটির চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘এখনই পরিকল্পনা না নিলে পরবর্তীকালে ‘জেরিয়াট্রিক পপুলেশন’(৬০ ঊর্ধ্ব জনসংখ্যা) শ্রেণির চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে চিন্তার অন্ত থাকবে না।  তিরিশের দশকে গড় আয়ু ছিল ৩৫। এখন হয়েছে ৭০। হাজার হাজার প্রবীণ মানুষের দেখাশোনার কেউ নেই। বিধবা বৃদ্ধাদের সংখ্যাও বাড়ছে। তাই এই পরিকল্পনা দ্রুত রূপায়িত হবে।’ 

Advertisement

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই মেডিক্যাল কলেজের এনসিবি ভবনের ছ’তলায় চালু করা হয়েছে জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ। রয়েছে ৩০টি শয্যা। ১৫টি রাখা হয়েছে পুরুষ রোগীদের জন্য, ১৫টি মহিলাদের। 

আরও পড়ুন- দেহে আঘাতের চিহ্ন, আমতায় উদ্ধার TMC কর্মীর দেহ; খুনের অভিযোগ

 

Advertisement