scorecardresearch
 

Katwa Crime: ৫ লক্ষ টাকার সুদ ৭০ লক্ষ, কাটোয়ায় সুদখোরদের হুমকিতে সুইসাইডের চেষ্টা শিক্ষকের

অভিযোগ, ২ যুবক ওই কর্মীকে মোটরবাইকে তুলে জোর করে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে বেহুঁশ করে রেল লাইনে বেঁধে রাখে। এরপর ওই লাইন দিয়ে ট্রেন গেলে তাঁর একটি পা কাটা পড়ে।

Advertisement
হাইলাইটস
  • চড়া সুদে টাকা নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা
  • রেললাইনে বেঁধে পা কেটে ফেলার অভিযোগ

সময়ে সুদের টাকা ফেরত দিতে পারেননি, তাই হুমকির মুখে পড়ছিলেন এক স্কুল শিক্ষক। ক্রমাগত হুমকি পেয়ে ভয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষক। তবে তাঁর ছোট ছেলের তৎপরতায় প্রাণ বাঁচে তাঁর। তারপরই চড়া সুদে টাকা দেওয়ার চক্রের খোঁজ মেলে।


পুলিশসূত্রে খবর, মাসে ৬০ শতাংশ সুদ টাকা ধার দিত ওই চক্র। টাকা ধার নিয়ে সুদকারবারীদের জালে জড়িয়ে পড়ে ওই শিক্ষকও। জোর করে বাড়ি লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তোলেন তিনি। শিক্ষকের স্ত্রীকে কুপ্রস্তাবও দেওয়া হয়। এরপরই স্বামীকে বাঁচাতে কাটোয়া থানার (katwa police station) দ্বারস্থ হন স্ত্রী। ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে কাটোয়া থানার পুলিশ।


মোট ১৩ জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। রাতেই সাংবাদিক বৈঠক করে কাটোয়া থানার এসডিপিও জানান, যে এটি একটি বড় চক্র। এই চক্রের সঙ্গে পা কেটে নেওয়ার ঘটনা যুক্ত আছে নাকি সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। 
স্ত্রীর উদ্দেশে সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা করতে বেরিয়েছিলেন ওই স্কুলশিক্ষক। সুইসাইড নোটে তিনি লেখেন, 'আমার মৃত্যুর পরে যে টাকা পাবে, সেখান থেকে টাকা মিটিয়ে দিও। ছেলের খেয়াল রেখো। আমায় ক্ষমা করে দিও। পুলিশের কাছে অনুরোধ এই সুদ কারবারীদের ব্যবসা বন্ধ করুন।'


শিক্ষকের ছোট ছেলে সেই চিঠি দেখতে পেয়ে মাকে জানায়। শিক্ষকের স্ত্রী তৎক্ষণাৎ সুইসাইড নোট নিয়ে হাজির হন পুলিশের কাছে। এরপরই পুলিশ তাঁর স্বামীকে উদ্ধার করে। তারপরই ফাঁস হয় সুদ কারবারিদের কথা।


জানা গেছে, বাবার  চিকিৎসার জন্য পরিচিত বুড়ো প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ সুদে ধার নিয়েছিলেন  ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হরিসভা পাড়ার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক অনিমেষ সরকার। ২০১৯ সালের ঋণ নেওয়া পাঁচ লাখ শোধ করতে গিয়ে চড়া সুদের চক্রে পড়েন তিনি। ৩০ লক্ষ টাকা শোধ করার পরেও এখন সুদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষ টাকা। চড়া সুদের কারবারিদের চক্রে ফেঁসে অনিমেষবাবুর আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনও পথ নেই বলে  পুলিশকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু সুদের কারবারিরা নাছোড়। তাঁকে লাগাতার হুমকি দেওয়া হত বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

Advertisement


পুলিশসূত্রে  জানা গেছে, চক্রবৃদ্ধিহারে সুদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। দু-তিন বছরের মধ্যে আসল-সুদ মিলিয়ে বিশাল পরিমাণ টাকা শোধ করতে হয়। না পারলেই ভিটেমাটি থেকে সবকিছু চলে যায় সুদের কারবারিদের হাতে। ওই চক্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।


উল্লেখ্য পুজোর সময় কেতুগ্রামে একটি ভয়াবহ ঘটনা সামনে আসে। সুদের টাকা শোধ না করায় এক সরকারি কর্মীর ওপর নৃশংস অত্যাচারের অভিযোগ ওঠে এক সহকর্মী-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। পরিবারের অভিযোগ, ২ যুবক ওই কর্মীকে মোটরবাইকে তুলে জোর করে নিয়ে যায়। এরপর তাঁকে বেহুঁশ করে রেল লাইনে বেঁধে রাখে। এরপর ওই লাইন দিয়ে ট্রেন গেলে তাঁর একটি পা কাটা পড়ে। অভিযোগ, হুমকি দেওয়া হয়, এরপর টাকা না দিলে মাথা কেটে নেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন: Banglar Saree: মসলিন-বালুচরী-জামদানি, সব জেলায় 'বাংলার শাড়ি' আউটলেট খোলার নির্দেশ মমতার

 

Advertisement