লোকসভা নির্বাচন মিটতেই রাজ্য পুলিশে রদবদল করা হল। ১২ জন আধিকারিককে বদলি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আইপিএস এবং ডব্লুবিপিএস অফিসার। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনকে ভোটের সময় বদলি করেছিল নির্বাচন কমিশন। অন্য দিকে, বিধাননগরের কমিশনার গৌরব শর্মাকে বদলি করা হল।
বিধাননগর পুলিশের নতুন কমিশনার হচ্ছেন মুকেশ। তিনি পশ্চিমবঙ্গের গোয়েন্দা বিভাগ (আইবি)-এ আইজি পদে কর্মরত ছিলেন। এসটিএফের আইজি করা হল গৌরবকে।
লোকসভা নির্বাচনের সময় পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের পদ থেকে সরানো হয়েছিল অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁকে ফের ওই পদে ফেরানো হয়েছে। সুন্দরবন পুলিশ জেলার এসপি পদে ফেরানো হয়েছে কোটেশ্বর রাওকে। একই রকম ভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের এসপি পদে ফেরানো হয়েছে ধৃতিমান সরকারকে।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি দফতরে বাড়তি বিদ্যুতের বিল নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুতের বিল কমাতে এসি চালানো নিয়ে কড়া নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক বৈঠকে সরকারি দফতরের বিদ্যুতের খরচ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান যে, ২৬ ডিগ্রির নীচে এসি চালানো যাবে না। পাশাপাশি, প্রতিটি দফতরের মাথায় সোনাল প্যানেল বসানোর পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। এদিন বৈঠকে ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিভিন্ন দফতরের সচিবরা।
এদিনের বৈঠকে কলকাতায় জমি দখল নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন মমতা। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকদের তিরস্কার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সরকার কোনও দুর্নীতির ভাগীদার হবে না বলে মন্তব্য করেছেন মমতা। কাটমানি নিয়েও এদিন সরব হয়েছেন মমতা। বলেছেন, 'কিছু কিছু অফিসার টাকা খাচ্ছেন। আমাদের টাকার কোনও প্রয়োজন নেই। পিডব্লিউডি কাজ করছে আর কাটমানি খেয়ে যাচ্ছে।' জল অপচয় নিয়ে এদিন বৈঠকে আলোচনা করেন মমতা। পাশাপাশি, পথশ্রীর কাজ নিয়েও অসন্তোষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।