John Barla BJP: আবার ভোল বদল জন বার্লার। ধূপগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় হাজির ছিলেন। তারপরই আবার বাড়ি ফিরে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গাকে ভাই বলে কাঁধে হাত দিয়ে ছবি তুললেন। ফের একইভাবে বাড়িতে দুই ভাইয়ের মধ্যে সামান্য ঠোকাঠুকি বলে ব্যাপারখানাকে সহজ করার চেষ্টা করলেন টিগ্গাও। তাতে ফিল গুড আবহাওয়া বিজেপির ঘরে। তবে ভিতরে তাতে কতটা কাজ হবে, কিংবা অন্তর্কলহ আদৌ মিটল বলে বিশ্বাস করছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার লক্ষ্মীপাড়া চা বাগানের নিজের বাড়িতে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গাকে নিয়ে ‘বৈঠকে’ বসলেন জন। প্রার্থী ঘোষণার পর এই প্রথমবার। তার আগে মনোজ এলেও তাঁর সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। এখনও তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রয়েছেন। সেই সঙ্গে এই কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদও জন। বৈঠকের পর জেলা বিজেপির তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া মঙ্গলবার থেকেই টিগ্গার হয়ে ভোট প্রচারে নামবে বার্লা। এ দিন টিগ্গা জানান, বাড়িতে থাকা বাসন থাকলে ঠোকাঠুকি লাগে, সেটা ঠিক করে পাশাপাশিই রাখলেই হল। জনদাও পাশে আছেন বলে জানান তিনি।
কিন্তু এরপরও বিশ্বাস ফিরছে না দলের মধ্য়েই। কারণ বার্লার ঘনঘন মত বদল ও পরষ্পর বিরোধী মন্তব্য ও কার্যকলাপ। মাত্র ৪ দিন আগেই তিনি নিজের বাড়িতে থাকা বিজেপি পার্টি অফিস তুলে দিয়েছিলেন। দলের কর্মীদেরও তাঁর বাড়িতে কোনও কার্যকলাপ বা মিটিং করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তাই দলীয় নির্দেশে প্রচারে নামলেও মানুষ কতটা বিশ্বাস করবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। পাশাপাশি জনের অনুগামী চা শ্রমিক সংগঠনের সদস্যরাও পথে এসেছেন এমন কোনও খবর নেই। ফলে ছন্দ এখনও মিলছে না।
বার্লা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভা থেকে টিগ্গার হয়ে প্রচার শুরু করেছেন তিনি। তাঁ দাবি যেহেতু তিনি এই এলাকার বিজেপির নেতা, তাই মোদীজির হাত শক্ত করতে তিনি কাজ করবেন। এর বেশি কিছু বলেননি তিনি। তবে শুধু আলিপুরদুয়ার নয়, উত্তরবঙ্গের সমস্ত প্রার্থীদের জন্য প্রচার করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে টিকিট না পেয়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। দল মনোনীত প্রার্থী মনোজ টিগ্গাকে (Manoj Tigga) সরাসরি আক্রমণ করেছিলেন। যার পর দলের মধ্যে বিভেদ সামনে এসেছিল। এরপরই আসরে নামে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। শিলিগুড়িতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জোড়া সভায় তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Modi) পাশেই। তারপর আলিপুরদুয়ারে ফিরে তিনি ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে জানিয়ে দিয়েছিলেন মনোজ তাঁর ভাই। তাঁকে জেতানোর জন্য ঝাঁপাবেন। মনে করা হচ্ছিল সমস্যা মিটল। কিন্তু তারপরও জনকে বিজেপির হয়ে প্রচারে দেখা যায়নি। দুই, এক জায়গায় একসঙ্গে মুখ দেখালেও তারপর তাঁর অনুগামীদের ক্ষোভ বুঝে তিনি ধীরে ধীরে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন। এরপর নিজের বহুতলে থাকা বিজেপির পার্টি অফিস বন্ধ করে দেন। ফের জানান মনোজের হয়ে প্রচার করবেন না। আবার মোদীর সভার পর তিনি প্রচার করবেন বলে জানানোয় ধন্দে দলীয় কর্মীরাই।