ফের বচসা জুনিয়র চিকিৎসক- কলকাতা পুলিশের। অভিযোগ, রাতে অনশনকারীদের জন্য চৌকি, চেয়ার নিয়ে যেতে গেলে তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসপ্ল্যানেডে ধর্না মঞ্চের দিকে যাচ্ছিলেন তাঁরা। যে কারণে প্রায় তিন ঘণ্টা বৌবাজার থানায় আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে। অবশেষে চৌকি, চেয়ার কাঁধেই অনশন মঞ্চে পৌঁছন তাঁরা।
ধর্মতলায় অনশনের তৃতীয় দিনেও অশান্তি কম হল না। আন্দোলনকারীদের একজন জানান, "কিছু খাট আর চেয়ার মেডিক্যাল কলেজ থেকে এসপ্ল্যানেডের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে খবর পাই, সেগুলি আটকে রাখা হয়েছে। পরে জানতে পারি ওনারা সেই খাট ও চেয়ার বৌবাজার থানার দিকে নিয়ে আসছেন। পুলিশ এও জানায়, ২৮৩ বিএনএসে সেগুলি আটকানো হয়। যেখানে ২৮৩ লাগাতে পারেন না। এর কিছুক্ষণ পরে পুলিশ সেগুলি সিজ করার কথা বলেন।" আন্দোলনকারীরা দাবি করেন, এই সাইকেল ভ্যান আটকাতে নানা প্রয়াস করে পুলিশ। তাঁরা সম্পূর্ণ মানবিকতা হারিয়েছেন।
তবে এখানে শেষ নয়। শেষমেশ সেই চৌকি, চেয়ার নিয়ে আসতে সক্ষম হন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সোমবার রাতে উত্তেজনা চরমে ওঠে বৌবাজার থানার সামনে। জুনিয়র ডাক্তারদের স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে থানা চত্বর। পরে থানার মূল গেটের সামনে বসে পড়েন তাঁরা।
এ প্রসঙ্গে পুলিশ জানায় রাস্তা দিয়ে যে রাস্তা দিয়ে চৌকি আনা হচ্ছিল, সেখানে সাইকেল ভ্যান চালানোর অনুমতি নেই। তবে আন্দোলনরত এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, ‘‘পুলিশ এই আন্দোলনে নানা ভাবে বাধা দিচ্ছে। বায়ো টয়লেট বসানো, ডেকরেটরদের গাড়ি আটকানো, সবেতেই গায়ের জোরে দেখাচ্ছে পুলিশ।’’ তাঁদের আরও দাবি, ‘‘এর থেকে খারাপ জিনিস বোধ হয় কোনও দেশের বা অন্য কোনও রাজ্যের সরকার কোনও দিন করেনি, এরা সেটাও আজ দেখিয়ে দিল।’’ যদিও পরে চৌকি, চেয়ার ছাড়ে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশনের পাশাপাশি পঞ্চমীর দিন জোড়া কর্মসূচি রয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৪টেয় কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মহামিছিল রয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের সর্বত্র সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি নিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এসবের মধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্য়সচিব।