আজই জেলে গিয়ে মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করুন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় CBI-কে কড়া নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার হাইকোর্টের নির্দেশমাফিক জেলে যাচ্ছেন দুই সিবিআই আধিকারিক। মঙ্গলবার রাতেই সেখানে মানিকের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শুধু তাই নয়, নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে CBI-এর কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, 'CBI গা-ছাড়া মনোভাব দেখালে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।' অর্থাত দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রীতিমতো সতর্ক করে দিলেন তদন্তকারী সংস্থাকে। মঙ্গলবার রাত ৮টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে এবং আগামিকাল সকাল ৯টার মধ্যে জেরা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
উচ্চ আদালত জানিয়েছে, মঙ্গলবারই মামলাকারী এবং পর্ষদের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করতে হবে CBI-কে। অবিলম্বে তদন্ত প্রক্রিয়ায় জোর দিতে হবে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে মানিককে জেরার জন্য হেফাজতেও নিতে পারবে CBI। অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে রয়েছে ED। তারাও প্রয়োজনে মানিককে হেফাজতে নিতে পারবে।
মঙ্গলবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির নয়া মামলায় অবিলম্বে সিবিআই এবং ইডিকে যোগ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ১ ঘণ্টার মধ্যে দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার আইনজীবীকে আদালতে আসতে নির্দেশ দেন তিনি।
এদিন সন্ধ্যায় CBI আধিকারিকরা আদালতে আসেন। সেখানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে কোনও রকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। CBI আধিকারিকদের তিনি বলেন, 'যদি আপনারা ঠিক করে তদন্ত করেন, তাহলে খুব ভাল, গা-ছাড়া মনোভাব দেখালে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব।'
শুধু জেরাই নয়, তার ভিডিওগ্রাফিও সম্ভব কিনা তা জানতে চান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়। এমনকি ক্যামেরায় ভিডিয়ো করা সম্ভব না হলে, স্মার্টফোন ব্যবহার করারও পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি তিনি। তাঁর আমলেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইডির দুর্নীতির অভিযোগ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে জেলবন্দি তিনি।
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত একটি নতুন মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী সুকান্ত প্রামাণিক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে, নিয়োগ দুর্নীতির পিছনে মানিক ভট্টাচার্যও জড়িত থাকতে পারেন। সেই কারণেই তড়িঘড়ি তাঁকে জেরার নির্দেশ।