scorecardresearch
 

'রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্যালু জিরো', তীব্র আক্রমণ কল্যাণের

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কল্যাণ। তিনি বলেন, "কুণাল ঘোষ আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই বলছেন, তাঁদের সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক। রাজীব আর কুণাল হয় ভাবছেন, তাঁরাই একমাত্র বুদ্ধিমান।" তবে দলে কাকে নেওয়া হবে তা সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে বলেই জানান কল্যাণ। সেই বিষয়ে সমস্ত প্যারামিটারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) নির্ধারণ করবেন বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল সাংসদ। 

Advertisement
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
হাইলাইটস
  • রাজীবকে বিঁধলেন কল্যাণ
  • "কাকে দলে নেওয়া হবে ঠিক করবে নেতৃত্ব"
  • বললেন শ্রীরামপুরের সাংসদ

"রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Rajib Banerjee) ভ্যালু জিরো। সেটা আমরা গত নির্বাচনে ওঁকে হারিয়ে প্রমাণ করেছি।" মন্তব্য শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Kalyan Banerjee)। কল্যাণ আরও বলেন, "নির্বাচনের আগে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দলের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছিলেন, কিন্তু নির্বাচনে হারিয়ে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি ওঁর ভ্যালু জিরো।" 

বিজেপি নেতাকে বিঁধে কল্যাণ বলেন, "জোমজুড়ে সাম্প্রদায়িকতার বীজ বুনেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি বলেছিলাম ৩০ হাজার ভোটে না হারাতে পারলে আমার নাম কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বলে বলে হরিয়েছি।" 

অন্যদিকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুণাল ঘোষের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কল্যাণ। তিনি বলেন, "কুণাল ঘোষ আর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় দুজনেই বলছেন, তাঁদের সাক্ষাৎ সৌজন্যমূলক। রাজীব আর কুণাল হয় ভাবছেন, তাঁরাই একমাত্র বুদ্ধিমান।" তবে দলে কাকে নেওয়া হবে তা সর্বোচ্চ নেতৃত্ব ঠিক করবে বলেই জানান কল্যাণ। সেই বিষয়ে সমস্ত প্যারামিটারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই (Mamata Banerjee) নির্ধারণ করবেন বলে মন্তব্য করেন এই তৃণমূল সাংসদ। 

প্রসঙ্গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই 'বেসুরো' রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যার জেরে তাঁর তৃণমূলের ফেরার জল্পনা তৈরি হয়। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একটি পোস্টকে ঘিরে সেই জল্পনা আরও জোড়ালো হয়। তারপরেই শনিবার কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেখা যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার জেরে রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য রাজনীতিতে। যদিও তাঁরা উভয়েই বলেছেন সেই সাক্ষাৎ নিছকই সৌজন্যমূলক। 

 

Advertisement