চাকরিতে সংরক্ষণ বাতিলের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয়েছে বাংলাদেশ। এখনও ওপার বাংলায় পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস বাতিল রাখারই সিদ্ধান্ত নিল রেল। কবে এই ট্রেন চালু করা হবে, তা এখনও জানা যায়নি।
পূর্ব রেল সূত্রে এদিন জানানো হয়েছে, ১৩১০৮ কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ২৯ জুলাই বাতিল থাকছে। বাতিল ট্রেনের ভাড়ার সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, কলকাতার সংশ্লিষ্ট টিকিট কাউন্টার থেকে কেনা টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত শুধুমাত্র কলকাতার বিশেষ টিকিট কাউন্টার গুলিতেই প্রদান করা হবে। হারানো/মিসপ্লেসড টিকিটের কোনো ফেরত দেওয়া হবে না।বিদেশি পর্যটকদের কাউন্টারে পিআরএসের কার্যক্রমের সময়ের মধ্যেই টিকিটের সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত দেওয়া হবে। টিডিআর ইস্যু করা হবে না।
বাংলাদেশে অশান্তির জেরে গত কয়েক দিন ধরেই বাতিল করা হয়েছে এই ট্রেন। অন্য দিকে, ধীরে ধীরে স্বাভাবিকের পথে হাঁটছে বাংলাদেশ। প্রথম আলো সূত্রে খবর, ২৮ থেকে ৩০ জুলাই ৬ ঘণ্টা করে চলবে অফিস। আগে ৪ ঘণ্টার জন্য অফিস খোলা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন ঘিরে উত্তাল হয় বাংলাদেশ। ওপার বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা শতাধিক। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অশান্তির জেরে বাংলাদেশে কার্ফু জারি করে শেখ হাসিনার সরকার।বাংলাদেশের ঘটনা সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে বর্ণনা করেছে নয়া দিল্লি।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে মোদী সরকারকে নোট পাঠিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গে মুখ খুলল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। মমতাকে নাম না করে বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হল, 'বৈদেশিক সম্পর্ক শুধুমাত্র কেন্দ্রের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।' একইসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা জানিয়ে যে নোট পাঠিয়েছে বাংলাদেশ সরকার, তা গ্রহণ করেছে নয়াদিল্লি। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পাল্টা মমতা বলেছেন, 'আমাকে শেখাবেন না।'
প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইয়ের সভায় বাংলাদেশে অশান্তির ঘটনা সম্পর্কে মমতা বলেন, 'আমি শুধু এটুকু বলতে পারি, কোনও অসহায় মানুষ যদি বাংলার দরজা খটখট করেন, আমরা নিশ্চয়ই আশ্রয় দেব। কারণ, এটা রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিয়ম। কেউ শরণার্থী হলে পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাঁকে সম্মান দেওয়া হয়। অসমে বোরোদের সঙ্গে এক বার গোলমাল হয়েছিল। আলিপুরদুয়ারে দীর্ঘ দিন ছিলেন শরণার্থীরা। আমিও দেখা করতে গিয়েছিলাম।'