আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় রয়েছেন সন্দীপ। সেই সন্দীপকে ফের নতুন পদ দেওয়া হল।
বিতর্ক এবং প্রতিবাদের জেরে সন্দীপকে আরজি করের অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হয় সন্দীপকে। কিন্তু তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। তাতে বিক্ষোভ আরও বাড়ে। অবশেষে ন্যাশনাল মেডিক্যালের অধ্যক্ষ পদ থেকে সন্দীপকে সরানো হয়েছে। তবে তারপরেই তাঁকে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হল।
জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যভবনে 'অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি' পদ দেওয়া হয়েছে সন্দীপকে।
আরজি করের ঘটনায় সিবিআই স্ক্যানারে রয়েছেন সন্দীপ। বুধবারও তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। এই নিয়ে টানা ৬ দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। সন্দীপের গাড়ি খতিয়ে দেখা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁর চালককেও।
সন্দীপের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছেন তাঁর প্রতিবেশীদের একাংশ। প্রতিবেশীরা বলছেন, বারাসতের রথতলা মোড় সংলগ্ন হৃদয়পুরের মল্লিকবাগানে যখন তিনি বসবাস করতেন, তখন তার আচরণ ছিল অত্যন্ত নির্মম। সেই সময় তিনি বাড়ির নীচেই একটি চেম্বার খুলেছিলেন, যেখানে তিনি রোগী দেখতেন। প্রতিবেশীদের দাবি, রোগীদের সঙ্গে তিনি ভাল ব্যবহার করতেন না। ফি নির্দিষ্ট থাকলেও, রিপোর্ট দেখানোর জন্যও আবার ফি দিতে হত। সন্দীপের বিরুদ্ধে স্ত্রীর উপর শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগও উঠেছে। প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন, সদ্য সন্তানের জন্ম হওয়ার পরও সন্দীপ তাঁর স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন। সেই সময় প্রতিবেশীরা তাঁর স্ত্রীকে উদ্ধার করেছিলেন।
অন্য দিকে, আজ ফের সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি রয়েছে। আজ শীর্ষ আদালতে স্টেটাস রিপোর্ট দেবে সিবিআই। গত মঙ্গলবার শুনানিতে এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন প্রধান বিচারপতি। ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা বলেছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আজ থেকে আরজি করে মোতায়েন করা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। গতকাল আরজি কর হাসপাতাল পরিদর্শন করেন সিআইএসএফের ডিআইজি। এখনও কর্মবিরতি চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা।